১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • খুলনা
  • বাগেরহাটে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড়




বাগেরহাটে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড়

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

আপডেট টাইম : নভেম্বর ১০ ২০১৯, ১৪:৪৮ | 760 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট:- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোংলা ও মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয়প্রার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এসব আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। রাত যতই ঘনিয়ে আসছে আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের সংখ্যা ততই বাড়ছে। কোনো কোনো জায়গায় ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

সর্বশেষ রাত ৮টা পর্যন্ত বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় এক লাখ পাঁচ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তবে মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় থাকলেও বাগেরহাট সদর, কচুয়া, মোল্লাহাট, চিতলমারী ও ফকিরহাট উপজেলার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয়প্রার্থী ছিল খুবই কম। এসব উপজেলার কোনো কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউই যায়নি।

শনিবার রাত ৮টার দিকে মধ্য সাউথখালী স্কুল কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে দেখা যায় সাড়ে ৭শ’র বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। যা এর ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বলে জানান স্থানীয়রা। নানা বয়সী মানুষ ওই আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাসাঠাসি করে রয়েছেন। পার্শ্ববর্তী চালিতাবুনিয়া আশ্রয়কেন্দ্রেরও অবস্থা একই। সেখানেও তিল ধারণের ঠাঁই নাই।

আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আশ্রয়কেন্দ্রে আসা গৃহবধূ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, জীবন বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছি। আমি যেমন ছেলে-মেয়ে নিয়ে এসেছি। অন্যরাও তেমন বৃদ্ধ বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসছেন। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক ভিড় হয়েছে। তারপরও বিপদের সময় একটু কষ্ট হলেও সবাই মিলে থাকছি।

সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার জন্য। জনসংখ্যার তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র কম হওয়ায় একটু চাপাচাপি করে থাকতে হচ্ছে মানুষদের। এর মধ্যেও সবাই যাতে নিরাপদে থাকতে পারেন, আমরা সে অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, জেলার ৩৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে রাত ৮টা পর্যন্ত এক লাখ পাঁচ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া জনসাধারণের জন্য শুকনো খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে। রাতেও কন্ট্রোল রুম চালু থাকবে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET