বাগেরহাটে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে আপন বড় ভাই ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সম্পত্তি দখল, স্বর্ণালংকার লুট ও জোরপূর্বক অর্ধ কোটি টাকার গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাট ফকিরহাট উপজেলার ঘন শ্যামপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু (৩৯) সুবিচার, স্বর্ণালংকার ও গাছ বিক্রয়ের টাকা ফেরত পেতে ফকিরহাট মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু ঘনশ্যামপুর গ্রামের মৃত্যু সাখাওয়াত আলী ফকিরের ছেলে।
ভুক্তভোগী তার অভিযোগে জানান, বড় ভাই মইনুল ইসলাম ফকির ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে জেল খাটায়। বিচারে সেই মামলায় খালাস পায়। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে ভাই ও ভগ্নিপতি মিলে ঘরের মধ্যে থাকা আলমারি ভেঙে কুড়ি ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত ২১ লক্ষ টাকার গাছ বিক্রি করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করে । পিতার মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে আমাকে বঞ্চিত করে। ভগ্নিপতি হারুন শেখ আমার গোয়াল ঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় জেলা সদরেরঘাট নামক স্থানে নাইট গার্ডের লোকজন উদ্ধার করে আমাদের ফেরত দেয়।
তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয়ভাবে কোন থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় নাই। স্থানীয় শুভদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল বিরোধীয় সম্পত্তি স্বর্ণালংকার ও টাকা সংক্রান্ত বিষয়ে সমাঝতার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। ঘটনার বিষয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করি। যুবলীগ নেতা হওয়ার কারণে প্রভাব বিস্তার করে আমাদের হয়রানি করতে থাকে।
মোবাইল বন্ধ থাকায় যুবলীগ নেতা মইনুল ইসলাম ফকির এর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী মিজানুর রহমান মন্টু নামক জনৈক ব্যক্তি জানান, মনিরুল ইসলাম ফকির ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হওয়ায় সে তার আপন ভাইকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করেছে। নিজের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ি থেকে স্বর্ণ, নগদ টাকা নিয়ে গেছে। গরু লুট ও গাছ বিক্রি করে দিয়েছে। এ বিষয় সমাধানের জন্য উভয়পক্ষ থানা ও ইউনিয়ন পরিষদে একাধিকবার সালিশ বসলেও কোন মীমাংসা হয় নাই।
ঘটনার বিষয় স্থানীয় (সাবেক) ইউপি সদস্য হেমায়েত গাজী জানান, পিতার সম্পত্তি দখল ও আত্মসাৎ এর জন্য জাহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সে কারাগারে থাকাকালীন বাড়িতে অবৈধ প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। বাড়ির গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও মনিরুল ইসলাম ফকির প্রভাবশালী হওয়ায় কোন সুরাহ করা সম্ভব হয়নি। তিনি বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Please follow and like us: