
রিমান্ড শেষে বাহাউদ্দিনসহ ৪ জন জেলহাজতে
নগরীর গোবরচাকা মোল্লাবাড়ি এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ হোসেন মোল্লা আলোচিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি মোঃ জাহিদ মীর (৩৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি ইন্সপেক্টর শেখ শাহাজাহান দু’দিনের রিমান্ড শেষে ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এ সময় জাহিদ মীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার দেয়া ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম রেকর্ড করেন। পরে বাহাউদ্দিনসহ ৪ আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
জাহিদ মীর রায়েরমহল হামিদ নগর সুইচ গেটের দক্ষিণ পাশের বাসিন্দা মৃত আবুল হোসেন মীরের ছেলে। জেলহাজতে পাঠানো অপর ৩ আসামি হলেন নগরীর ১৩৬/১ রায়েরমহল বাউন্ডারী রোডের মৃত আব্দুস ছাত্তার খন্দকারের ছেলে খুলনা জেলা ও সদর শাখা দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহাউদ্দিন খন্দকার (৪৭), রায়েরমহল মুন্সি পাড়ার মৃত শেখ আব্দুল ওহাবের ছেলে মোঃ মিরাজ শেখ (৩৪) ও রায়েরমহল হামিদ নগরের মৃত রহিম মোল্লার ছেলে মোঃ সোহরাব মোল্লা (৪৯)।
সিআইডি ইন্সপেক্টর শেখ শাহাজাহান জানান, ১৭ নভেম্বর দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানার কাকডাঙ্গা গ্রামের শ্বশুর মোঃ সহিদ মোল্লার বাড়ি থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ১৫ নভেম্বর রাত সোয়া ৮টার দিকে বয়রা চৌরাস্তার মোড় থেকে মিরাজ শেখ এবং রাত ১০টার দিকে খানজাহান আলী রোডস্থ গ্লাক্সো মোড় থেকে বাহাউদ্দিন ও সোহরাব মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকান্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর তাদের গ্রেফতার গ্রেফতার হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৪ জুন ইফতারের পর নগরীর রায়েরমহল এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাত হোসেনসহ ৭-৮ স্থানীয় হামিদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বসে কথা বলছিলেন। এ সময় ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি করে। ঘাড়ে, হাতে ও বুকে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই শাহাদাত হোসেনের মৃত্যু হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় লিয়াকত খান ও তার ছেলে মোস্তফা, বুলবুল ও রুবেল। ঘটনার পর ১৭ জুন নিহত শাহাদাৎ হোসেন মোল্লার ছেলে আল মামুন সুমন বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নগরীর হরিণটানা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন (নং-৭)। পরে মামলার তদন্ত সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।