
রেজাউল হক হেলাল –
সচেতন দেশ প্রেমিক যারা, তারা জানেন, একটু খানি আপোষ করলেই ফেনী সিলোনিয়ার এই পপুলার স্কুল টিচার বিনা ঘুষে বিনা ডোনেশনে দল বদল করে করে বাংলাদেশের বহুবার এমপি, মন্ত্রী হতে পারতেন। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ ইলেকশনে ভোট করে দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী এই সিনিয়র লিডার খুব সাদামনের মানুষ ছিলেন। যারা তার সাথে মিশে ছিলো আমার চেয়ে তারা ভালো জানেন। বন্ধু বা ব্যাংকের একটা টাকা ঋণ নিয়ে ঢাকা বা কোথাও কিছু করেন নি। জীবনের হালাল রুজি ও বন্ধুদের থেকে পাওয়া ডোনেশন এনে এনে মকবুল সাহেব কিছু মসজিদ-মাদরাসা করেছেন।যেহেতু তিনি দীর্ঘ দিন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের চীফ ছিলেন। কখনো কোন দল বা সম্প্রদায়কে কটুক্তি বা আক্রমন বা উস্কানিমূলক বক্তব্য করা বা হিংসা জিঘাংসার ঝড় তুলতেন না। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে তার কিছুটা তুলনা করা যায়। পৃথিবীর বহু দেশে গিয়ে বহু সেমিনারে বক্তব্য করে যে জামা কাপড় পরে যেতেন,ওইভাবে সাধারণ যাত্রির মতোই দেশে ফিরতেন। এজন্যই তার মহা প্রয়ানের পর পৃথিবীর বহু স্থানে বহু নগরে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার নিজ গ্রামে রাত দশটায় শেষ জানাজায় আওয়ামী লীগ,বিএনপি, সাংসদ, ডাক্তার, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, কবি,লেখক, বুদ্ধিজীবি, স্হানীয় নেতা, পেশাজীবি, কৃষক, ছোট্ট বেলার খেলার সাথী, তার ছাত্ররা পঙ্গপালের মতো ছুটে আসেন দাফন অনুষ্ঠানে। গ্রামবাসির ভালোবাসার মানুষটিকে অশ্রুশিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানান। ফেনী জেলার এই কৃতি সন্তানের নাম মকবুল আহমেদ। জামাত নেতা হিসেবে নয়; তার পারসোনালিটি, তার নির্লোভ ইমেজিং আচার-আচরণ তাকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। কোটি কোটি গনমানুষের হৃদয়ে তার জন্য অকৃত্রিম সুপ্ত ভালোবাসা যেনো উপছে পড়েছে। আমরা যারা মকবুল আহমেদ এর দলের রাজনীতি করিনা তারাও তার পারসোনালিটির প্রসংশা করছি। তাই সামাজিক দায়িত্ব থেকে মানবিক পোস্ট করলাম।
এজন্য কবি বলেছেন
প্রথম যেদিন তুমি এসেছিলে ভবে,
কেঁদেছিলে তুমি একা হেঁসে ছিলো সবে।
এমন জীবন তুমি করিবে গঠন,
মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।
পরকালে তিনি যেনো জান্নাতবাসী হন।আমিন।
Please follow and like us: