উপজেলা প্রশাসনকে উৎকোচ দিয়ে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া চরে যুমনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৪টি ভারী খনন যন্ত্র ও দুটি শ্যালো মেশিন দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। এতে নদী তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর, কৃষি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে আলোকদিয়া চরের বসতবাড়ি, কৃষি জমি, মসজিদ ও স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা।
শিবালয়ের আলোকদিয়া গ্রামের ওমর আলী বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে থাকে বালু খেকোরা। আমরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধর দাবিতে মানববন্ধন করলেও টনক নড়েনি প্রশাসনের। এই গ্রামে দিবারাতি ২৪ ঘন্টায় চলছে অবৈধ বালু উত্তোল।
এই সমস্ত অবৈধ বালু মহলে এলাকার কেউ বাঁধা দিতে গেলে মারধরসহ বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয় তারা।
এ সকল অবৈধ বালু মহল দেখাশুনা করে স্থানীয় গ্রাম প্রধান বাবু , জালাল ও রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া এলাকার মুক্তার হোসেন। প্রতিটি বলগেট লোট করতে তাদেরকে দিতে হয় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগকারী মো. জামাল হোসেন জানান, অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। তারা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেভাবে বালু উত্তোলন করছে এতে এলাকাবাসী একেবারে সর্বশান্ত হয়ে যাবে।
রাজবাড়ীর ধাওয়াপাড়া এলাকার মুক্তার হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চেয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন,অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময়ে জরিমানা করা হচ্ছে এবং নৌ পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যখন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় তখনই তাদের গ্রেফতার করার। বর্তমানে যে স্থানে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে সেখানে নৌ পুলিশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।