নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- মালদ্বীপ সরকার রোববার মানবাধিকার হাই কমিশনার (ওএইচচএইচআর) জাতিসংঘের কার্যালয়ে জানায় যে দ্বীপপুঞ্জের চলমান রাজনৈতিক সংকট এবছরের ১ লা ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক প্রধান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাশিদসহ কারাগারে আটক রাজনৈতিক নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির আদেশ দিয়ে দ্বীপ রাষ্ট্রটি নতুন রাজনৈতিক অস্থিরতায় ভুগছে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল্লা ইয়ামেন আব্দুল গাইয়ুম ১৫ দিনের রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার পর সুপ্রিম কোর্টের আপিল প্রত্যাখ্যান করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিলের রায় কার্যকর করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিচারপতি মোঃ সাঈদকে জানানো হয়েছিল কিন্তু এটা কার্যকর না করায় তাকেও কারাবন্দী করা হয়। এগুলি নিয়ে মালদ্বীপ সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় অরাজগতা। আবার কারাবন্দী করা হয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আব্দুল গাইয়ুকে সহ আর অসংখ্য বিরোধী দলের নেতা কর্মীদেরকে। এগুলি মিডিয়াতে ব্যাপক ভাবে প্রচারের কারনে পর্যাটকরা তাদের ভ্রমনের সিদ্ধান্ত ক্যান্সেল করেন প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যাটন।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আসিমের মতে মালদ্বীপ জাতিসংঘের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং চলমান রাজনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়ক সমস্যাগুলির সমাধান করতে উৎসহর সাথে সৃজনশীল ভাবে জড়িত থাকার আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরে।
“পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসিম গণতন্ত্র ও দেশের আইন ও স্তম্ভের শাসনকে সমর্থন করার জন্য মালদ্বীপ সরকারের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন,” তিনি বিবৃতিতে একথা বলেন।মালদ্বীপের ওএইচসিআরএর সফরের উদ্দেশ্যে উল্লেখ করে মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে সরকার ইতিমধ্যে দেশটির উন্নয়ন অংশীদার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদেরকে দেশে আসার জন্য এবং পরিস্থিতির মূল্যায়ন করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাতিসংঘ এবং যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশ দ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এবং মালদ্বীপ আর পর্যাটক কি ভাবে বাড়ানো যায় সেই বিষয় নিয়ে ভাবছেন তারা। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ পর্যাটন বাড়াতে পেরেছেন বলে সেই সভা থেকে জানা যায়। তারা আর জানায় যে মালদ্বীপের দ্বিতীয় আয়ের উৎস হল পর্যাটন, কিন্তু যদি এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার চলতে থাকে তাহলে দেশে অনেক অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে এবং ভয়াবহ পরিচিতি দেখা দিতে পারে বলে সভা থেকে জানা যায়।
Please follow and like us: