
কোন ধরনের আগাম প্রস্তুতি ছাড়াই গত 27 মার্চ থেকে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষিতে আজ থেকে সারাদেশে এক যুগে এক সপ্তাহের জন্য সরকার যে লকডাউনের ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে তা মোটেও সঠিক সিদ্ধান্ত না। আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আরো অনেক যাচাই-বাছাই ও সকলের সাথে আলোচনা করে যদি রেশনিং পদ্ধতিতে লকডাউন করা হতো এবং নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হতো তাহলে আজ লকডাউন এর বিরুদ্ধে আন্দোলন ও সমালোচনার সম্মুখীন হতে হতো না। গতবছর লকডাউনে এলাকাভিত্তিক থাকায় অর্থনীতির চাকা ও জীবনযাত্রা সচল ছিল। কিন্তু এবার একযোগে লকডাউন দেওয়ায় নাগরিক জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। গত এক বছর যাবত সাধারণ নাগরিকদের এমনিতেই অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আসন্ন রমজান, মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া, পানির সংকট, সার্বিক সকল দিক থেকেই সাধারণ নাগরিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন মানুষের উপর মহামারীর রূপে আবির্ভূত হয়েছে। প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার যাতে পুরন হয় তা দেখার দায়িত্ব সরকারের। আমরা আশা করব সরকার নাগরিক সমস্যার সমাধান গুলি দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন। বার্তা প্রেরক মোহাম্মদ মিলন প্রচার সম্পাদক বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।