টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার কমপক্ষে সাড়ে ছয় হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে ৮০ বস্তা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবির) শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যান পরিষদ।
এ সময় তাঁরা শেরপুরের নকলা উপজেলার ৪ নং গৌড়দার ইউনিয়নের দতিয়াঘুরি ও ফুলপুর উপজেলার চিকনা ,ছনদড়া এলাকায় বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রান সামগ্রী বিতরনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন বশেফমুবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থী ও শেরপুর জেলা ছাত্রকল্যান পরিষদের সাবেক সভাপতি কৃষিবিদ মুন্তাসির মাহমুদ এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফাহিম উদ্দিন। স্থানীয়দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোজাম্মেল হক (সাবেক চেয়ারম্যান)। এছাড়াও ভলান্টিয়ার হিসাবে সহযোগিতা করেন রাকিব হাসান, মোহাইমিনুল হক ফাহিম, রাহাত সহ প্রমুখ।
৪ অক্টোবর ভোর থেকে স্মরণকালের ভয়াবহ এক পাহাড়ি ঢল দেখেছে শেরপুরবাসী। এতে মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে হাজারো পরিবার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাটির ঘরে থাকা পরিবারগুলো। স্থানীয়দের দাবি, প্রতিবছর বর্ষায় দুই–তিনবার ঢলে ভাসলেও এর আগে এমন তাণ্ডবলীলা কেউ দেখেননি আগে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢল চারটি নদীপাড়ের মানুষের সব লন্ডভন্ড করে দেয়। গত তিন দিন বৃষ্টি না থাকায় ও উজানের পানি কমতেই ভেসে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র।
শেরপুর এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মুন্তাসির মাহমুদ ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, “প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অত্র এলাকার মানুষ পানি বন্দি। পানি যত কমতেছে তাদের দুঃখ দুর্দশা বেড়েই চলছে। সেই দুঃখ দুর্দশা খানিকটা লাঘব করার জন্য আমরা বান বাসীদের জন্য অল্প উপহার নিয়ে আসছি। পরবর্তীতেও আমরা আপনাদের পাশে থাকবো।”
স্থানীয়দের মাঝে মোজাম্মেল হক (সাবেক চেয়ারম্যান) জানান, “আমি বেশ কিছু সংগঠনের ত্রাণের কাজে সহযোগিতা করতেছি। কিন্তু অত্র এলাকায় যত উপহার আসছে তার মধ্যে শেরপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, বশেফমুবিপ্রবির উপহার সামগ্রী বান বাসিদের জন্য কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা আমার এলাকার জন্য সুদৃষ্টি রাখবেন।”
Please follow and like us: