গাজীপুরের শ্রীপুরে ড্রাম ট্রাক-পিক আপ সংঘর্ষে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এঘটনায় আরও ১২জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের ভাংনাহাটি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, সুনামগঞ্জের দুলুরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাসেল মিয়া (২৫) ও তাঁর মেয়ের জামাই আবু সুফিয়ান (২৫)।
আহত হলেন সুনামগঞ্জের পারভীন (৫২), আলমগীর (১৬), সূর্যত আলী (২৮), মো. নূরুল ইসলাম (২০), লাল মিয়া (৪০), আবু হানিফা (২০), মো. রাসেল (৫২), আবু সুফিয়ান (২৫), আমির মিয়া (৫৫), এরশাদ (২৫) ও ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার বীর আহাম্মদপুর গ্রামের মো. ফেরদৌস মিয়ার ছেলে মো. শাহজাহান (২৮) ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া এলাকার শহিদুল্লার ছেলে খায়রুল ইসলাম (২০)।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফারা জানান, ভোরে দুর্ঘটনায় হতাহতদের হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। আহতদের মধ্যে তিনজন শ্রীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকিদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল আহমেদ জানান, একটি পিক আপে করে মিক্সার মেশিন ও ১৩জন শ্রমিক ঢালাই কাজে শ্রীপুর থেকে মাওনা অভিমুখে আনসার রোড এলাকায় যাচ্ছিলেন। তাদের বহনকারী পিক আপটি শনিবার (৪ মে) ভোর সাড়ে চারটার দিকে শ্রীপুর-মাওনা আঞ্চলিক সড়কের ভাংনাহাটি কামরুজ্জামান কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই পেছন থেকে একটি ড্রাম্প ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে পিক আপ উল্টে মিক্সার মেশিনের নিচে চাপা পড়ে। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই রাসেল মিয়া নিহত ও ১২জনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরেক শ্রমিক আবু সুফিয়ানকে মৃত ঘোষনা করেন। এঘটনায় ওই পিক আপে থাকা আরও ১১জন আহত হয়েছেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কুদ্দুস জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় ট্রাকটি আটক করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।