এম এ মালেক,সিরাজগঞ্জঃ আর ১ দিন পরেই পালিত হবে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস।দিবসটি উদযাপন ও শহীদদের স্বরন করে সম্মান জানাতে এদিনে শহীদ মিনারে সবাই ফুল দিয়ে থাকেন। কিন্ত বাস্তবতা হলো চলনবিল এলাকার বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ফলে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা আর্ন্তজাতিক মাতৃ ভাষাসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের সম্মান জানাতে পারে না।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়,চলনবিলের তাড়াশ উপজেলায় ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,২৮টি উচ্চ মাধ্যমিক , ৫টি নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি কলেজ , ৪টি কারিগরি কলেজ এবং আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে ১৯টি।ওই সকল বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই।
শহীদ মিনার না থাকায় এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষার মাস মহান একুশে ফেব্রয়ারী এলেই শহীদদের সম্মান জানানোর জন্য নিজ উদ্যোগে সংশ্লিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চাঁদা তুলে অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার তৈরী করে দিবসটি উদযাপন করেন তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়,উপজেলার বেশির ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকার ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভাষা ও দেশের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন তাদের কি ভাবে সম্মান জানাতে হবে তাও তারা জানতে পারছে না। তাড়াশ উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মুস্তাফিজুর রহমান জানান, শতকরা ৭ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার আছে। উপজেলার সিংহ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই। যার দরুন শিক্ষার শুরুতেই শিশুরা শহীদদের সম্মান জানানোর বিষয়টি জানতে পারছে না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফকির জাকির হোসেন বলেন, কলেজ, উচ্চ ও নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধেক প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তবে আলিয়া মাদ্রাসা গুলোতে শহীদ মিনার নেই বললেই চলে। নির্দিষ্ট ভাবে শহীদ মিনার না থাকায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা দিবসসহ বিভিন্ন দিবস উদযাপন হয় না। এদিকে উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গড়ে উঠা অসংখ্য কওমি মাদ্রাসাগুলোর একটিতেও শহীদ মিনার নেই। সম্প্রতি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে সরকার স্বীকৃতি প্রদান করলেও মাদ্রাসা গুলোতে সরকারি কোন দিবস পালিত হয় না।সেখানে মানা হয়না সরকারি কোন নিয়ম কানুন ।
Please follow and like us: