
যমুনা পাড়ের মহাবন্ধনে, মিলব সবাই প্রাণে ও মনে স্লোগানকে ধারন করে ঐতিহ্যবাহী সিরাজগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতির নতুন সোপান নির্মানের লক্ষ্যে ৬০-৭০-৮০ দশকের সাহিত্য-সংস্কৃতিজনদের পুনর্মিলনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৮ ও ১৯ মার্চ, শনি ও রবিবার, সকাল ৯ টায় থেকে সিরাজগঞ্জের ভাসানী পৌরমিলনায়তনে
অনুষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানটি পুনর্মিলনী উৎসব কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মোহন রায়হানের সভাপতিত্বে উদ্বোধন করেন, সিরাজগঞ্জের বর্ষীয়ান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আনোয়ার হোসেন রতু। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, লেখক অধ্যাপক জুলফিকার মতিন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সিরাজগঞ্জে আজ থেকে সাহিত্য, সংস্কৃতির নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো। দুইদিনব্যাপী, কবি সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক জনদের অনুষ্ঠানে-স্মৃতিচারণ, কবিতা, গান, নৃত্য, গীতিনাট্যসহ বিভিন্ন হৃদয়গ্রাহী অনুষ্ঠান বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালন করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে তিন দশকের সাহিত্য-সংস্কৃতির ১৯ কৃতিজনকে সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে প্রথমে জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে, পরে পৌর ভাসানী পৌরমিলনায়তন হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে, সিরাজগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিরাজগঞ্জ লিয়াজো কমিটি, আহ্বায়ক, ইসমাইল হোসেন। পুনর্মিলনী উৎসবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার প্রায় তিন শতাধিক সাহিত্য-সংস্কৃতিজন উপস্থিত ছিলেন।