
পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে চেস্টারত পাহাড়ের একটি সশস্ত্র আঞ্চলিক সংগঠন,ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবী করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে,রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের নাভাঙ্গা নামক এলাকায় ব্যবসায়ী কবির একটি সেগুন বাগান ক্রয় করে।বাগানের গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত লেবার সিদ্দিক ও গাড়ী চালক মুহিন দীর্ঘদিন যাবত বাগানে যাওয়া আসার কারণে বাগানের কেয়ারটেকারের সাথে হৃদ্যতা বাড়ে। সম্প্রীতির হৃদ্যতাকে মেনে নিতে পারেনি আঞ্চলিক সশস্ত্র উপজাতি সংগঠন ইউপিডিএফ। তারা রটিয়ে দেয় বাঙালি ব্যাবসায়ীদের লোকজন উপজাতীয় কেয়ারটেকারের মেয়েকে ধর্ষণ করে।
এ অভিযোগে কেয়ারটেকারের পুরো পরিবারকে সন্ত্রাসীরা,হেচকপাড়ায় জরুরি তলব করে এবং ধর্ষণের ঘটনায় রুপান্তরিত করতে চাপ প্রদান করে ও অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা করবে বলে জানায়। তারা বাগান মালিক কবিরকে গত ০৮ অক্টোবর২৫ ইং তারিখে,হেচকপাড়ায় তলব করে এবং তার চালক ও লেবারকে তাদের জিম্মায় দিতে বলে এবং সাথে ২ লক্ষ টাকা দাবি করে।
কাঠ ব্যাবসায়ী কবির সন্ত্রাসীদের কথায় সাড়া নাদিলে ০৯ অক্টোবর ২৫ ইং টাকা নিয়ে হেচক পাড়ায় কাঠ ব্যবসায়ী কবিরকে পূনরায় যেতে বলে। বর্তমানে নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাগানে যেতে পারছেনা বলে জানিয়েছে কাঠ ব্যাবসায়ী কবির।
কাঠ ব্যাবসায়ী কবিরের লেভার মোঃ সিদ্দিক মিয়া (৩৫)মানিকছড়ি উপজেলার ২ নং বাটনাতলী ইউনিয়নের ডাইনছড়ি গ্রামের মৃত.ওহিদ মিয়ার ছেলে, গাড়িচালক মোঃ মহিন (২৪)২ নং বাটনাতলী ইউনিয়নের সাধুপাড়া মোঃ নুরুন্নবীর ছেলে। এবং নাভাঙ্গা আনিস সাহেবের আম বাগানের কেয়ারটেকার হরি কুমার ত্রিপুরার দুই মেয়ে কাজল ত্রিপুরা (২১),দিপিকা ত্রিপুরা (১৮)।
ঐ এলাকার বাসিন্দা বংশি কুমার ত্রিপুরা জানায়,বাঙালি ব্যবসায়ী ও তার লোকজনের সাথে উপজাতীয় কেয়ারটেকার পরিবারের সম্পর্ক ভালো ছিল। একটা পক্ষ ঘটনাকে অন্যদিকে নিয়ে পাহাড়ী-বাঙালির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চাইছে।