নারায়ণগঞ্জের হাজী সাব ও ভাইজান হিসেবে খ্যাত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ আজমিরি ওসমানের অন্যতম সহযোগী ও নিকটাত্মীয় সন্ত্রাসী মুরাদের হুন্ডার মহড়া এখানো চলছে। দাবরিয়ে বেড়াচ্ছে এলাকা। সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে এক আতংকের নাম মুরাদ হোসেন ওরফে বারিশ। বর্তমানে পুলিশ প্রশাসনের অভিযান না থাকায় মুরাদ আবারো মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। কিন্তু দেখার কেউ নেই, বলার কেউ নেই। স্থানীয় এলাকাবাসী শংকিত ও আতংকিত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের আমলে আজমিরির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ রাত-দিন পুরো নারায়ণগঞ্জ শহরের মধ্যে হুন্ডার মহড়া দিয়ে মানুষকে আতংকে রেখেছিল কিন্তু সরকার পতনের পরও সন্ত্রাসী মুরাদ বীরদর্পে এখানো অপকর্ম করে চলেছে। দিচ্ছে হুংকার। ভূমিদস্যুতা সহ মানুষের বাড়ি ঘর দখল করে নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। চাচ্ছে চাঁদা। কিশোর গ্যাংয়ের লিডার মুরাদের বিয়ের সময় আজমিরি ওসমানকে উকিল হিসেবে নিযুক্ত করেছিল বিধায় নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় একচ্ছত্র চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছিল। বর্তমানে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের গডফাদার আজমিরি ওসমান পলাতক থাকলেও তার অন্যতম সহযোগী মুরাদ হোসেন বারিশ এখনো হুন্ডার মহড়াসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। বিভিন্ন মানুষজনকে ভয়ভীতি হুমকী ধামকী দিয়ে চলেছে বলে অভিযাগ উঠেছে। গোদনাইল পুরাতন আইলপাড়া এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মুরাদ হোসেন সমাজে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। মুরাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ও মামলা রয়েছে। বর্তমানে মুরাদকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী