“ বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যা শিশুর অধিকার” প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে শনিবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর হতে একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কুরুণা কান্ত রায় সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রতিপাদ্য বিষয় ও দিবসটির উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেনু একরাম। আরো বক্তব্য রাখেন, রামপুর মহিলা উন্নয়ন সমিতির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য নূরীমা বেগম, রাধানগর ফেডারেশন নারী ফোরাম সমিতির সভাপতি রত্মা বানু, মুক্তি মহিলা কল্যাণ সমিতি,কলেজপাড়া সভাপতি মোছাঃ আফরোজা বেগম(বেনী), উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ ইউসুফ আলী প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, সারা বিশে^ই নানা কারণে কন্যা শিশুরা অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা-সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশে^ই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহুর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যাশিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিক ভাবেও তারা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যাশিশু দিবসের অন্যতম উদ্দেশ্য। গৃহ-পরিবেশে একজন পুত্র সন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যতেœ লালন পালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যাশিশুর মানসিক নিপিড়নের হাত থেকে মুক্ত করার কথাই উচ্চারিত হয়ে থাকে এ দিবসে। তিনি বলেন, স্বাধীনভাবে নিজের মতামত ব্যক্ত করা ছাড়াও পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ক্ষমতায়ন করা সম্ভব। এজন্য কন্যাশিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তাসহ বেড়ে ওঠার সব অনুকুল পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কন্যাশিশু সুরক্ষা পেলে সব বৈসম্য দূর হবে। প্রধান অতিথি আরো বলেন, কন্যাশিশুদের বিকশিত হওয়ার প্রতিটি পদক্ষেপে এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তাহলে তারা যোগ্য ও দক্ষ নাগরিক হয়ে উঠবে এবং আগামীর উন্নত-সমৃদ্ধ ‘ স্মার্ট ’ বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।