পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় তিনটি কালীমন্দিরের ১০ টি প্রতিমা ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য সহ সনাতন ধর্মাবলম্বী দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বহুবাধ সার্বজনীন কালিমন্দির, ঠাকুরপাড়া কালীমন্দির ও দোমুর্কী ঝাকুয়াপাড়া কালীমন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলো, আলোয়াখোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের ইউপি সদস্য প্রার্থী শক্তি চন্দ্র পাল (৪৮) ও একই ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া এলাকার নির্মাণ শ্রমিক সনাতন পাল (২৮)। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার(১৯ নভেম্বর) সকালে ওই কালীমন্দিরগুলোতে পুজা করতে গিয়ে মন্দিরগুলোর দরজা খোলা এবং মন্দিরের ভিতরে রাখা কালী মূর্তি ও শিব মূর্তিগুলো ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার লোকজন মন্দিরগুলোতে ভাঙ্গা মূর্তি দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি আটোয়ারী থানা পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে আটোয়ারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউপি সদস্য প্রার্থী শক্তি চন্দ্র পাল ও তার কর্মী একই ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া এলাকার নির্মাণ শ্রমিক সনাতন পালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার মোঃ রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অঃ দাঃ) মোঃ আরিফ হোসেন ও সিআইডি ও এনএসআই কর্মকর্তাগন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন। এদিকে পঞ্চগড় জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কল্যান কুমার ঘোষ, পঞ্চগড় জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিপিন চন্দ্র রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ আটোয়ারী শাখার সাধারণ সম্পাদক কমলেশ চন্দ্র ঘোষ, ঠাকুরপাড়া কালীমন্দির এর সাধারণ সম্পাদক সচিন্দ্র নাথ ঝা জানান, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় চতুরপার্শ্বে প্রায় ২ কি.মি. জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। ন্যাক্কারজনক এঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবী জানান। তারা বলেন দোষী ব্যক্তি যদি আমাদের ভাইও হয় তবুও আমরা এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।