খাগড়াছড়িতে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত অবরোধ কর্মসূচি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা করেছে জুম্ম ছাত্র-জনতা। শনিবার সকালে জুম্ম ছাত্র-জনতার মিডিয়া সেলে এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পুন্যকর্ম সম্পাদন, আহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রশাসনের আশ্বাসকে আংশিক বিবেচনায় এই সিন্ধান্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়,খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সংঘটিত ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এনএসআই জেলা প্রধান, ডিজিএফআই জেলা প্রধান ও এএসপি (তদন্ত) প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে “জুম্ম ছাত্র-জনতা”-এর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮ দফা, ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং সংঘটিত হত্যাকান্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিসমূহ বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করা হয় এবং শহীদ পরিবারের প্রতি নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা প্রদান করার বিষয়টি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সংগঠনটি জানান,অতি দ্রুত আমাদের ৮ দফা দাবি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন না হলে, জুম্ম ছাত্র-জনতা আরও কঠোর, ব্যাপক ও অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি ঘোষণা করতে দ্বিধা করবে না।
অবরোধ পরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করায় অচলাবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিবেশ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে জুম্ম ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠে খাগড়াছড়ি। যদিও পরবর্তী মেডিকেল পরীক্ষায় কিশোরীর শরীরে ধর্ষণের আলামত পায়নি তিন সদস্যের চিকিৎসক দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা সহিংসতা মারা যায় তিন জন।










