
পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের বাস্তবায়িত গুইমারা উপজেলার রে¤্রা পাড়া এলাকায় প্রায় ১ কোটি টাকার গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে বালির পরির্বতে পাহাড়ের মাটি এবং নিম্নমানের ইট ব্যবহার হচ্ছে নির্মাণ কাজে।
জানা যায়,২০২৪-২৫অর্থবছরের আওতায় প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ,গুইমারা উপজেলায় গ্রামীণ মাটির রাস্তা টেকসইকরণের লক্ষে হেরিং বোন বোল্ড (এইচবিবিকরণ)প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।উপজেলার ২নং হাফছড়ি ইউনিয়নের মরার দোকান হতে ছোট পিলাক পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এইচবিবি করণে কাজ শুরু হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১কোটি টাকা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গুইমারা থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে রে¤্রাপাড়া এলাকায় এই গ্রামীণ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।রাস্তা নির্মাণের কাজে দুই স্তরের ইট দেয়া হচ্ছে। নীচের স্তরে ২ নাম্বার (নিম্নমান) ইট দেওয়ার পর উপরের স্তরে দেওয়া হচ্ছে এক নাম্বার। এছাড়া রাস্তার বালুর পরিবর্তে দেয়া হচ্ছে পাহাড়ের মাটি।শ্রমিকেরা জানান,আমাদের কাজের জন্য যা দেয়া হয়েছে সেটা দিয়ে কাজ চলছে।
ইতিমধ্যে রাস্তার অর্ধেকের বেশী কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হওয়ার রাস্তার মজবুতকরণের জন্য ইটের উপর বালু দেয়ার কথা থাকলেও তা না দিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তার পাশের মাটি।ইউপিডিএফের কর্মী দর্জয় চাকমা বলেন,দীর্ঘদিন ধরে এটি মাটি রাস্তা ছিল। সম্প্রতি এটি নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে,যেভাবে রাস্তার কাজ হচ্ছে,এই রাস্তা বেশী দিন টিকবে না। পুরো রাস্তা নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে পাহাড়ের মাটির। বৃষ্টি আসলে রাস্তার মাটি ধুয়ে চলে যাবে।ঠিকাদার এবং শ্রমিক যে ইটগুলোকে দুই নাম্বার দাবি করতেছে, প্রকৃত অর্থে সেগুলো কোন নাম্বারেই পড়ে না। কাজের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ¤্রাসাজাই মারমা কোন মন্তব্য না করে বলেন, নেতা কাজ করাচ্ছে।
গুইমারা উপজেলা মারমা ঐক্য পরিষদের সভাপতি অংগ্য মারমা বলেন,মারমা ঐক্য পরিষদের গুইমারা উপজেলা কমিটির কেউ এ কাজে জরিত নয়,এটা জেলা কমিটি বলতে পারবে। তবে মারমা ঐক্য পরিষদের নাম দিয়ে রাস্তার কাজে অনিয়ম করা ঠিক হবেনা।
জানাগেছে,পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের অর্থায়নে গ্রামীণ রাস্তার এইচবিবিকরণের কাজ করছে ঠিকাদার জেলা পরিষদের ক্যাশিয়ার মারমা ঐক্য পরিষদের নেতা ¤্রাসাথোয়াই মারমার শ্যালক অংলাপ্রু মারমা। অনেক চেষ্ট করেও তার সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা মারমা ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি ¤্রাসাথোয়াই মারমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে, তিনি ব্যাস্ত আছেন,পরে জেলা পরিষদে গিয়ে দেখা করতে বলেন।
নিম্নমানের ইট ব্যবহার ও বালি না দেওয়া ও বক্স না করে শুধু মাটির উপরে নিচে ২ নাম্বার ইট দিয়ে ব্রিকস সোলিং করা বিষয়ে জানতে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চীফ ইঞ্জিনিয়ার প্রদীপ বাবুর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। সহকারী ইঞ্জিনিয়ার জামির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে,তিনি কাজের বিষয় কিছু বলতে পারছেন না,ওমরাহ হজ্জ পালনে দেশে৷ বাহিরে আছেন। দেশে আসার পর বিস্তারিত জানাতে পারবেন বলে জানান।