খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় টানা ভাড়ী বর্ষণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস ও বন্যায় ঘরবাড়ি, বাগান-বাগিচাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের খোজ খবর নেওয়ার পাশাপাশি নিজে গিয়ে শুকনা খাবার বিতরণ ও পরিস্থিতি বেশি অবনতি দেখলে আশ্রায় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য নিদের্শনা প্রদান করেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২০২৪) ভোর থেকে গুইমারা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানি বেড়েছে আগের চেয়ে বেশি। ফলে নতুন নতুন এলাকায় পানি ডুকে পরিবার-পরিজন, গবাদিপশুসহ আসবাবপত্র ও মালামালের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
অতিবৃষ্টির ফলে গুইমারা উপজেলার বাজারপাড়া, জালিয়াপাড়া, কালাপানি, বড়পিলাক, আমতলীপাড়া, হাজিপাড়া, সিন্দুকছড়ি, বাইল্যাছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে। এছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে যান চলাচল স্থগিত থাকলেও সেনাবাহিনী ও রেডক্রিসেন্ট এর লোকজনের অভিযানে সড়কযোগাযোগ সাভাবিক পরিস্থতিতে আসে।
এসময় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শুকনা খাবার ত্রাণ হিসেবে পৌছে দেওয়ার জন্য ক্ষতিগ্রস্থদের বাড়িতে বাড়িতে পৌছেছেন গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী। প্রাথমিক পর্যায়ে গুইমারা উপজেলায় ৬০ পরিবারকে শুকনা খাবার চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, চিনি, গ্যাস লাইটার ও মোমবাতি বিতরণ করেন উপজেলা প্রশাসন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাফছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মংশে চৌধুরী, গুইমারা প্রেসক্লাব সভাপতি নুরুল আলমসহ রেডক্রিস্টের স্বোচ্চাসেবকগণ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ।