আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গুইমারা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে “ভোট ফর ধানের শীষ,ভোট ফর ওয়াদুদ ভূইয়া” শীর্ষক গণসংযোগ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার(১৩অক্টোবর)বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুইমারা বাজার সহ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়।
কর্মসূচিতে উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো.সাইফুল ইসলাম সোহাগ,সহ-সভাপতি এস এম মিলন,শেখ মো. ইব্রাহীম,দিদারুল আলম বাবুল,যুগ্ন সম্পাদক আব্দুল লতিফ,সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী ডালিমসহ উপজেলা,ইউনিয়ন বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,স্বেচ্ছা
নেতাকর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনায়“রাষ্ট কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” কর্মসুচী জনগনের কাছে পৌছে দিতে লিফলেট বিতরণ করেন এবং ৩১ দফার তাৎপর্য সম্পর্কে জনগনকে অবহিত করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দরা বলেন,দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি মাঠে নেমেছে।আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা ঘরে ঘরে যাচ্ছি।বিএনপি জনগণের দল। এই দল শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করে না,বরং জনগণের অধিকার,গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করে।ওয়াদুদ ভূইয়া জনগণের আস্থার প্রতীক,যিনি সব সময় খাগড়াছড়ির মানুষের পাশে ছিলেন।দেশের জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চায়।তাই সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং সমর্থন শক্তিশালী করতে আমরা মাঠে কাজ করছি।বিএনপি সম্প্রীতি ও শান্তির দল,সকল ধর্মের মানুষ বিএনপির কাছে নিরাপদ।এসময় নেতৃবৃন্দ কর্মীদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও জনগণের সঙ্গে বিনয়ী আচরণের আহ্বান জানান।
তরুণ কর্মীরা জানান,দীর্ঘদিন পর এভাবে মাঠে নেমে প্রচার চালানোয় তারা নতুন উদ্যম পেয়েছেন।তারা বলেন,আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ভোট হোক,যাতে মানুষ মুক্তভাবে ভোট দিতে পারে।গুইমারায় বিএনপির সমর্থন এখন আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।ওয়াদুদ ভূইয়ার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা,সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তা সব মিলিয়ে গুইমারায়সহ পুরো জেলায় বিএনপির শক্ত অবস্থান তৈরী হয়েছে।ওয়াদুদ ভূইয়া এমপি থাকাকালে এলাকায় উন্নয়ন কাজ হয়েছিল।পরিক্ষিত ব্যক্তি হিসেবে জনগন চান তিনি আবার নির্বাচিত হন।
লিফলেট বিতরণ কালে নেতৃবৃন্দ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন,দেশের চলমান সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ হলো নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা।ধানের শীষে ভোট মানেই জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার।অন্যায়ের বিরুদ্ধে,দুর্নীতির বিরুদ্ধে,এবং স্বাধীন মত প্রকাশের পক্ষে ভোট দেওয়া।কর্মীরা বলেন,তারা এখন ঘরে ঘরে গিয়ে জনগণের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে মনোযোগ দিচ্ছেন এবং নির্বাচনের আগ পর্যন্ত এই প্রচার চালিয়ে যাবেন। ৩১ দফা কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসুচি নয়-এটি জনগনের মুক্তির রূপরেখা।










