বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখতে,ঐতিহাসিক ৭মার্চ উপলক্ষে,খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানা কম্পাউন্ডে শুভ উদ্বোধন হলো,বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি’র। এই গ্যালারিতে ৩৭টি আলোক চিত্রের মাধ্যমে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বরণ করার বিষয়টি নতুন প্রজন্মের নিকট তুলে ধারার চেষ্টা করা হয়েছে।এছাড়া ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন,১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন,১৯৬৯ সালের গণ- অভ্যুত্থান,১৯৭০ সালের নির্বাচন,১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী কর্তৃক গনহত্যা,মুজিবনগর সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশাজীবী মানুষের অবদান.পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট প্রধানদের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা ফুটিয়ে তুলা হয়েছে এই গ্যালারিতে।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) সন্ধা ৬টায় “ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গ্যালারি”র শুভ উদ্ধোধন করেন,খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।তাঁর আগে অতিথিদের সাথে নিয়ে গ্যালারি ঘুরে দেখেন তিনি।এসময় উপস্থিত ছিলেন,গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুল আমিনসহ থানায় কর্মরত অফিসারবৃন্দ,গুইমারা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ম্রচাথোয়াই মগ,মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার শাহ আলম,গুইমারা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল আলী,সাধারণ সম্পাদক এম দুলাল আহাম্মদ ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।উদ্বোধন শেষে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন,বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এ ধরনের গ্যালারি থানায় আর হয়নি।এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত।প্রতিটি থানার জন্য আইডল এটি।নতুন প্রজন্ম,মুক্তিযুদ্ধ এবং দেশপ্রেম এই গ্যালারির প্রধান আকর্ষণ।গ্যালারির মাধ্যমে বর্তমান ও আগামী প্রজন্ম,স্থানীয় শিক্ষার্থী ও জ্ঞানপিপাসু জনগণ বঙ্গবন্ধু এবং তার কর্ম ও ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারবে।
এ বিষয়ে গ্যালারির উদ্যোক্তা ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব দানকারী গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আরিফুল আমিন বলেন,৭১এর চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণ,বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ ও বর্ণাঢ্য জীবন,মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে মাননীয় পুলিশ সুপার খাগড়াছড়ির নির্দেশনায় তাঁর এই উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে বিকশিত করতে এই গ্যালারি ভূমিকা রাখবে বলে তাঁর বিশ্বাস এবং থানায় আগত অপরাধি ও সেবা প্রার্থীরা মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে ও তা হৃদয়ে ধারন করতে পারবে।