গোলাপগঞ্জের ভাদেশরে ব্যবসায়ী জুয়েল আহমদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টায় ভাদেশ্বর মোকামবাজারে এলাকাবাসীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সহস্রাধিক ব্যবসায়ী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন।
ভাদেশ্বর এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি মজনু রহমানের সভাপতিত্বে ও আবু জাফর সাদির পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ আনিসুজ্জামান পাপলু, আওয়ামী লীগ নেতা রুমেল সিরাজ, ভাদেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মুহিদুজ্জামান লাভলু, ইউপি সদস্য কায়েল আহমদ, তাহের উদ্দিন মাস্টার, ব্যবসায়ী জুয়েল আহমদের বড় ভাই মাস্টার রুমেল আহমদ।
বক্তারা বলেন, গত ২৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একটি মহল জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ পুলিশকে কল দিয়ে জানায় যে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের মাইজভাগ গ্রামের জুয়েল আহমদের বাড়িতে অস্ত্র রয়েছে। এর পরিপেক্ষিতে পুলিশ বাড়িতে এসে বলে বাড়িতে নাকি অস্ত্র রয়েছে এজন্য তারা অনুসন্ধান চালাবে। এ সময় জুয়েল বলে আপনারা দেখেন কিছু আছে কিনা। তল্লাশীর সময় জানালা পাশে একটি শপিংব্যাগ দেখতে পায় পুলিশ। এই শপিংব্যাগে একটি পুরাতন পিস্তল পাওয়া যায়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে পিস্তলটি এতই পুরাতন যে এর ভিতরে গুলি লাগাবার মত অবস্থা নেই।
বক্তারা বলেন, যে ৯৯৯ এ কল দিয়েছিল, সে কিভাবে জানলো এই জায়গায় এটা রাখা। এতেই বুঝা যায় পরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়ী জুয়েলকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্রে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি। তাছাড়া ব্যবসায়ী জুয়েল আহমদ ভাদেশ^র মোকামবাজারে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছেন এবং কোনো ব্যবসায়ী বা কোনো ব্যক্তির সাথে তিনি কোনো দিন খারাপ আচরণ করেননি। আর সেই ব্যক্তিকে অস্ত্র রাখার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এটাকে আমরা ষড়যন্ত্রেরই একটা অংশ হিসেবে দেখছি। বক্তারা নিরপরাধ জুয়েলের নিঃশর্ত মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বক্তারা আরোও বলেন, প্রশাসনও আমাদের আশ্বাস করেছিলেন জুয়েলের পরিবারিকে সহযোগিতা করে এর সত্য উদঘাটন করবেন। কিন্তু পরবর্তীতে মামলার চার্জশীটে জুয়েলকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাস্টার জামিল আহমদ, তৌফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক ধারা খান, নোমান খান, আব্দুর রাজ্জাক মাস্টার, বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আহমদ, ব্যবসায়ী মনোয়ার আহমদ সহ কয়েক শতাধিক এলাকাবাসী।