
গোলাপগঞ্জে গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলননে গুলিতে নিহত হওয়া মো. সানি আহমদ (২২) এর লাশ প্রায় ৬ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদের নেতৃত্বে উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের শিলঘাট কবরস্থান থেকে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। এসময় সানি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির পরিদর্শক ইফতেখার আহমদসহ সিআইডির টিম ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।
নিহত সানি আহমদ শীলঘাট গ্রামে গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।
এ বিষয়ে সাংবাদকিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদ বলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি ছাড়া কিছু বলা যাবে না।
জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের দিন গত ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে মো. সানি আহমদও মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সানি আহমদের পিতা কয়ছর আহমদ প্রথমে ২৭ আগস্ট ১১৯ জন আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮০থেকে ৯০ জনকে আসামী করে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ২ সেপ্টম্বর দুপুরে একই ঘটনায় সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ২য় আদালতে নিহত সানি আহমদের পিতা কয়ছর আহমদ আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে একই ঘটনায় দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
সানির লাশ তোলার পর তার বাবা কয়ছর সাংবাদিকদের বলেন, সঠিক ও ন্যায় বিচারের আশায় আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে৷ আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করছি।”
আমুড়া ইউপির ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল গফফার কুটি বলেন, সানিসহ উপজেলায় যারা নিহত হয়েছেন, তাদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।