
সিরাজগঞ্জে কাটাখালী খননে প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত খননের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৮ শে ডিসেম্বর) বিকাল ৪ ঘটিকার সময় মিরপুর হায়দার পাড়ায় ভূমিহীনদের এক আলোচনা সভায় উঠে আসে এই অভিযোগ। জানাযায়, খনন কাজের নিয়োজিত ঠিকাদারগণ পানি উন্নয়ন যোগসাজশে খনন কাজ ক্রমেই প্রয়োজনের তুলনায় পশ্চিম দিকে অতিরিক্ত খনন করছে। এতে প্রায় ১ হাজারের অধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ছে মিরপুর হায়দারপাড়া, চররায়পুর, রামগাঁতী ও রেলওয়ে কলোনীর ভূমিহীন মানুষ। কাটা খালের দুই পাড়ে বসবাসকারী অসহায়, গরিব ভুমিহীন পরিবারগণ প্রায় ৪০ বছর যাবত উক্ত স্থানে বসবাস করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তারা ভ্যান চালক, দর্জি, দ্বীন মজুর ও মাছ বাজারের শ্রমিকের কাজ করে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করেন। শ্রমিকের কাজ করে যে সামান্য উপার্জন করেন তা দিয়ে তাদের এই দ্রব্যমূল্যের বাজারে পরিবারের সদস্যদের মুখে দু মুঠো অন্ন তুলে দেওয়াই সম্ভব হয়ে ওঠে। তার উপর তাদের এখন মাথা গোঁজার কোন ঠাই নেই। জমি ক্রয়ের মতো সামর্থ্যও তাদের নেই। স্ত্রী পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে বসবাস করচ্ছে এই সমুস্থ ভূমিহীনরা। কিন্তু সিরাজগঞ্জ কাটাখালী খনন ও সৌন্দর্য বর্ধন কর্মসুচির কারনে প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী সেখান থেকে ঘরবাড়ি ভেঙে এখন হারকাপানো শাীতে তারা স্ত্রী সন্তান নিয়ে রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে শহরের যে কোন স্থানের পতিত খাস জমিতে তাদের পূর্নবাসনের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপিও প্রদান করেছেন। তাদের পূর্নবাসন করা হলে তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অন্তত খেয়ে না খেয়ে সেখানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাই হতো। একই সাথে তারা সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতেন। এমতাবস্থায় উচ্ছেদ হওয়া অসহায় ভুমিহীন পরিবারের দ্রুত পূর্ণবাসনের দাবীতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মিরপুর হায়দারপাড়া, চররায়পুর, রামগাঁতী ও রেলওয়ে কলোনীর ভূমিহীন মানুষ। উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মিরপুর ১৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলিগের সভাপতি আব্দুর রহিম, রোমানা রেশমা, মহিলা কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা রুবেল আহমেদ প্রমুখ।