কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত দুইদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে সরকারি বেশ কয়েকটি অফিসে পানি ঢুকে আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় খাল ও ড্রেনের পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সোমবার ভোর থেকেই চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ উপজেলার তের ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হয়েছে। বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে ফসলি জমি, পুকুর ও খাল ডুবে গেছে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চৌদ্দগ্রাম নজমিয়া কামিল মাদরাসা মাঠে হাঁটু পরিমান পানি জমেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সেবা গ্রহীতা ও শিক্ষার্থীরা। পানি নিস্কাশনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ না থাকায় আগামী কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবে সাধারণ মানুষ। চিওড়া ইউনিয়নের সারপটি গ্রামের আবুল মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকে ভারি বৃষ্টির কারণে বীজতলাসহ ফসলি জমি ডুবে গেছে। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ সাহিদুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে জলাবদ্ধতার বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার খাল খননের জন্য বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন খাল খনন না করায় বৃষ্টির কারণে সমাজসেবা অফিসে পানি ঢুকে মূল্যবান কাগজপত্র ভিজে গেছে’। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘সরেজমিনে উপজেলা কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে জলাবদ্ধতা দেখেছি। সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত পানি নিস্কাশন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে’।