কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাড়ে ১৮ হাজার বন্যার্ত পরিবারের মাঝে দুই ধাপে সাড়ে ১৮ হাজার প্যাকেট উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ(এমজিআই)। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে উপজেলা কনকাপৈত ইউনিয়নের সব গ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার কয়েকটি গ্রামে প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের বুদ্দিন গ্রামের কৃতি সন্তান মোঃ মোস্তফা কামালের উদ্যোগে উপহার সামগ্রীগুলো বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন কনকাপৈত আলহাজ¦ নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মহিব উল্লাহ ও যুব সমাজে আইডলখ্যাত কনকাপৈত ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার। বানভাসিসহ পুরো এলাকার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন এমজিআইডি এমডি মোস্তফা কামালসহ বিতরণকাজে নিয়োজিত নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট রাতের ভারি বর্ষণ ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় কনকাপৈত ইউনিয়নের সব গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। পরদিন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল বানভাসিদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেন। কনকাপৈত আলহাজ¦ নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে শুকনো খাবারগুলো ট্রাক্টরভর্তি করে প্রত্যেক গ্রামের সামাজিক ব্যক্তিবর্গের নিকট হস্তান্তর করা হয়। সামাজিক নেতৃবৃন্দ পানিবন্দি মানুষের মাঝে সেই খাবার বিলিয়ে দেন। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় শনিবার থেকে দ্বিতীয় ধাপে আবারও সাড়ে ৮ হাজার পরিবারের জন্য প্যাকেটভর্তি চাল, ডাল, তেল, লবন, পেয়াজ বিতরণ করা হয়। কনকাপৈত ইউনিয়নের বানভাসিদের সেবায় এগিয়ে আসায় মেঘনা গ্রুপের কর্ণধার মোস্তফা কামালকে চৌদ্দগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাবেক এমপি ডাঃ সৈয়দ আবদুল্লাহ মোঃ তাহের।
শনিবার বিকেলে কনকাপৈত ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দানবীর মোঃ মোস্তফা কামাল বানভাসিদের সেবায় তাৎক্ষণিক খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। সার্বক্ষণিক তিনি কনকাপৈত ইউনিয়নের সমস্যাগ্রস্ত মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন। আল্লাহর নিকট ওনার দীর্ঘ হায়াত কামনা করছি’।