বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক বলেন, তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর নির্যাতিত ছিলেন। তবুও তিনি মানুষের অধিকার নিয়ে ভাবতেন। রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতেন। গত বছরের ৫ আগষ্টের পর দেশ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্তি পেলে মানুষ তার অধিকার ফিরে পায়। ভোটাধিকার ফিরে পায়। তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ৩১ দফা জাতীর ভাগ্য পরিবর্তনের দফা। ৩১ দফা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যখন জেলে আমরা তখন আন্দোলন গড়ে তুলি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের নেতারা সেদিন আমাকে মাঠে বক্তব্য দিতে দেয়নি। বাক স্বাধীনতা হরন করা হয়। আজ আমরা স্বাধীন। প্রতিবাদ করতে পারি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে মাঠ থেকে সরে যাইনি। আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান শিগগির বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেন।
শনিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও লিফলেট বিতরণ শেষে জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, আগামিকাল ঢাকায় সিলেট বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার। আপনারা দোয়া করবেন। জনগন চাইলে তারেক রহমান ধানের শীষের প্রতীক আমার হাতে তুলে দেবেন। আমি ধানের শীষের মনোনয়ন পেলে আপনাদের ভালবাসায় বিজয় নিশ্চিত করবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের ভোটে পার্লামেন্টে গেলে হাওরের কৃষকের উন্নয়নে কাজ করব। হাওরাঞ্চলের মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় পিছিয়ে৷ আমরা পিছিয়ে থাকতে চাইনা,আমরা উন্নয়ন চাই। এই এলাকার মানুষ কয়লা,বালু ব্যবসার সাথে জড়িত। ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে শ্রমিকদের ভাগ্য বদলানোর চেষ্টা করবো। সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করবো। শহীদ জিয়া খাল খনন কর্মসুচীর মাধ্যমে নাব্যতা সংকট দুর করেছিলেন। আমি পার্লামেন্টে গেলে খাল, নদী খনন করে নাব্যতা সংকট দুর করব। তিনি আরও বলেন গত ১৭ বছর দেশে গুম,খুন হয়েছে৷ গুম হওয়া ইলিয়াস আলী দিনারসহ ৬০০ লোককে ফেরত চাই। যারা এখনও আহত তাদের চিকিৎসা চাই। সভায় সভাপতিত্ব করেন, তাহিরপুর উপজেলার বিএনপির আহবায়ক বাদল মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ধর্মপাশা উপজেলায় বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জুলফিকার আলী ভুট্টা, ধর্মপাশা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম রহমত আলী, মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোশাহিদ তালুকদার।
Please follow and like us:










