
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ- ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ের প্রাথমিকের ফল বিপর্যয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের পরীক্ষকের খাতা দেখার অদক্ষতার অভিযোগ তুলেছে অভিভাবকরা। তাদের দাবি মুল্যায়ন সঠিকভাবে হয়নি। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের ফল বিপর্যয়ের সঠিক কারন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট অনুরোধ জানিয়েছে ৪৫ জন অভিভাবক। অভিভাবকরা জানান, ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয় হতে ২০১৭ সালের প্রাথমিকের সমাপনীর পরীক্ষায় ১২৭ জন পরীক্ষাথী অংশ গ্রহন করে। এর মধ্যে মাত্র ৬৫ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে। এর মুল কারন হিসেবে দেখা যায় বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ নম্বর দেওয়া হয়েছে। যা খুবই কম। যেখানে ঝিনাইদহের সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে সর্বোচ্চ ৯৯ নম্বর পেয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় যে শিক্ষক খাতা দেখেছেন তার মুল্যায়ন সঠিক হয়নি। তিনি খাতায় নাম্বার কম দিয়ে এমন খারাপ রেজাল্ট সৃষ্টি করেছেন। ফল বিপর্যয়ের জন্য ঐ শিক্ষককেই দায়ী করেছেন অভিভাবকবৃন্দ। ২০১৬ সালে ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয় হতে প্রাথমিকের সমাপনীর পরীক্ষায় ১২০ জন অংশ গ্রহন করে ১০৯ জন জিপিএি ৫ পেয়েছিল। তাদের দাবি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের খাতার নাম্বার শুধুমাত্র গননা না করে খাতাগুলো পুনারায় অন্য শিক্ষকদ্বারা দেখানো বিশেষ প্রয়োজন।