
ডুমুরিয়ায় প্রয়াত উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুরের আজ বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী।অজস্র ভক্তবৃন্দ, দলীয় নেতাকর্মী ও স্বজনদের অশ্রু শুকাতে না শুকাতেই দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল ছয়টি বছর। মাত্র ৬৪ বছর বয়সে ২০১৯ সালের ১৬ জানুয়ারী সকালে হার্ট এ্যাটাকে সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি। আজ তার স্মরণে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছে উপজেলা বিএনপি।কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকাল থেকে কোরআন খানি, বাদ জোহর মরহুমের কবর জিয়ারত, বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন খুলনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোল্যা মোশাররফ হোসেন মফিজ। সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সরদার আব্দুল মালেক। মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা যায়,১৯৫৫ সালের ২৫ জানুয়ারী উপজেলার ভান্ডারপাড়া গ্রামস্থ সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম খান পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহন করেন।
তার পিতা আলহাজ্ব নহর আলী খানের ৩ ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। শিক্ষা জীবনে তিনি ১৯৭২ সালে ডুমুরিয়া এনজিসি এন্ড এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি, ১৯৭৪ সালে শাহাপুর মধুগ্রাম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তিতে ডিগ্রি পাশ করেন।ছাত্র জীবন থেকেই তিনি পরপোকারী, নিঃস্বার্থ ও রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব সুলভ আচরনে গড়ে ওঠেন। রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত জীবনে দল-মত, জাতি-ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে অল্প দিনের মধ্যেই ডুমুরিয়া বাসির কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। রাজনৈতিক জীবনে শুরুতেই তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) এর ডুমুরিয়া থানা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯৮০ সালে সাবেক জাতীয় সংসদের স্পিকার প্রয়াত এ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগদান করেন। এরপর রাজনৈতিক দক্ষতা, দলীয় নেতা-কর্মীদের মুল্যায়ন ও সফল সংগঠক হিসেবে ঠাই পাওয়া এই মানুষটি বিভিন্ন পদ পদবী অতিক্রম করে উপজেলা বিএনপির কান্ডারী হিসেবে সভাপতির দায়িত্ব ভার গ্রহন করেন।
এর আগেই সদালাপী, সুমিষ্টভাষী ও অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী এই মানুষটি তার নিজ ইউনিয়ন ভান্ডারপাড়ায় একাধিক বার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের শীর্ষনেতা প্রয়াত গাজী আব্দুল হাদীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। কেন বা কিভাবে অল্প দিনের মধ্যে তিনি এত জনপ্রিয়তা ও দলের কান্ডারী হিসেবে ঠাই পেলেন এমন প্রশ্নের উত্তরে ডুমুরিয়া বান্দা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক নিত্যানন্দ মন্ডলসহ সুশীল সমাজের অনেকেই জানান, রাজনৈতিক ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে খান আলী মুনসুর ছিলেন ডুমুরিয়ার একটি মডেল ব্যক্তিত্ব।কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে হয় এবং এলাকার উন্নয়ন করতে হয় এজন্য তাকে অনুসরন করলেই যথেষ্ট।বেঁচে থাকলে অনেক বড় জায়গায় পৌঁছাতেন তিনি। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
Please follow and like us: