
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার বরুনা বাজারে খোরশেদ আলম মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও দায়িত্বহীনতায় খাদিজা বেগম নামে এক গর্ভবর্তী মায়ের মৃত্যু হয়েছে। গত ১২ জানুয়ারি রোববার সকালে ওই নারী চিকিৎসার জন্য খোরশেদ আলী বেসরকারি হাসপাতালে আসেন। সেখানে কোন চিকিৎসা না দিয়ে সন্ধ্যায় ওই রোগীকে খুলনায় পাঠিয়ে দেযা হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। এই ক্লিনিকের মালিক বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা ডাক্তার দ্বীন মোহাম্মদ খোকা। তিনি বাগেরহাট জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। তার মালিকানায় পিতার নামে বেসরকারি একটি হাসপাতাল পরিচালনা করছেন। ওই হাসপাতালে তিনি নিজেই অপারেশনসহ সাবিক কাযর্ক্রম পরিচালনা করেন। তার অপচিকিৎসায় বহু রোগীর প্রাণহানি ঘটলেও তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সর্বশেষ ডাঃ দ্বীন মোহাম্মাদ খোকার অপচিকিৎসায় প্রাণ গেছে সাড়ে আট মাস গর্ভবতী খাদিজা বেগমের (২১)। টোলনা গ্রামের সাইদুল ইসলামের স্ত্রী খাদিজা বেগম পেটে বেদনা নিয়ে তার ক্লিনিকে আসেন রোববার সকালে। কিন্তু দ্বীন মোহাম্মদ বাগেরহাটে থাকায় রোগীকে ক্লিনিকের নাস বসিয়ে রাখে। এতে রোগীর অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকলেও ডাক্তার আসছে বলে ক্লিনিক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। পরে সন্ধ্যার পর দ্বীন মোহাম্মদ ক্লিনিকে ফিরে রোগীকে আদদ্বীন হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা ভাল না থেকে সেখানে ভর্তি না করে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাত ১১টার দিকে খাদিজা বেগম মারা যান।
খাদিজা বেগমের পিতা খরসঙ্গ গ্রামের এনায়েত আলী মোল্লা জানান, আমার মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে ডাঃ দ্বীন মোহাম্মদ খোকার তত্বাবধানে নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে আসছিল। গত রোববার (১২ জানুয়ারি) পেটে ব্যথা হলে ডাক্তারের ক্লিনিকে আনা হয়। কিন্তু সেখানে না থাকলেও নার্স আমাদেরকে বসিয়ে রাখে। সন্ধ্যার পরে ডাক্তার এসে মেযেকে খুলনায় পাঠিযে দেয়। সেখানে আমার মেয়ে মারা যায়। আমার মেয়েকে যদি ক্লিনিকে আটকে না রাখত তাহলে হয়ত সে এভাবে বিনা চিকিৎসায় মারা যেত না।
ডাঃ দ্বীন মোহাম্ম্দ খোকা এসব বিষয়ে বলেন, খাদিজা খাতুনের প্রেসার অনেক হাই ছিল। আমি বাগেরহাট থেকে ফিরে রোগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ক্লিনিকে ভর্তি না করে এম্বুলেন্সে করে খুলনায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে সে মারা গেছে বলে শুনেছি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এক সময়ে ছিলাম, তবে এখন তো সব কার্যক্রম বন্ধ।
Please follow and like us: