
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করা এবং ইট ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের দায়ে খুলনার ডুমুরিয়ায় ৬টি ইট ভাটায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে ১টি ইট ভাটার চিমনি ও চুল্লি ভেঙ্গে ফেলা এবং ৫টি ইটভাটার কাঁচা ইট পানি ছিটিয়ে ও বিনষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় পরিবেশ দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম এবং ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান।
অভিযানে ভদ্রা নদীর জায়গা দখল করে স্হাপিত খর্ণিয়া এলাকার মেরী ব্রিকস নামে একটি ইটভাটার চিমনি ও চুল্লি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়া ওই এলাকার শাহাজান জমাদ্দারের মালিকানাধীন নুরজাহান ব্রিকস ও সান ব্রিকস, রানাই এলাকায় আব্দুল লতিফ জমাদ্দারের জে বি ব্রিকস, আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন লুইন ব্রিকস, চহেড়া এলাকায় অবস্থিত গাজী আব্দুল হকের মালিকানাধীন সেতু ব্রিকস-৪ এ অভিযান পরিচালনা করে সরকারি নদীর জায়গা দখল করে প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইটে পানি ছিটিয়ে এবং ট্রাক্টর দিয়ে পিষিয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসব ইটভাটার মালিকদের পক্ষে থেকে ইটভাটা আর পরিচালনা করবে না মর্মে মুচলেকা গ্রহন করেন ভ্রাম্যমান আদালত। আদালতের অভিযানে মেরী ব্রিকস, জে বি ব্রিকস, লুইন ব্রিকস, সেতু ব্রিকস, স্টোন ব্রিকস, গুটুদিয়া এলাকার জে সি ব্রিকস, শোলমারী নদী তীরবর্তী এন কেবি ব্রিক্সস, এস বি ব্রিক্সস এবং সেতু ব্রিক্সস এ অভিযান চালিয়ে মোট ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া, খর্ণিয়া, গুটুদিয়া ও রুদাঘরা ইউনিয়ের বিভিন্ন এলাকায় ভদ্রা ও হরি নদীর চর ভরাটিয়া জমির কিছু অংশ দখল করে গড়ে উঠে বেশ কয়েকটি ইট ভাটা। ইট ভাটা গুলোর লাইসেন্স এবং পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্রের মেয়াদ ৩/৪ বছর পূর্বে উত্তীর্ণ হলেও অবৈধভাবে তা পরিচালিত হয়ে আসছে।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন পরিবেশ দপ্তরের সহকারি পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।
Please follow and like us: