১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-
  • হোম
  • দেশজুড়ে
  • ডুমুরিয়ার আঁঠারোমাইল বাজারে নতুন কাঁচামালের আড়টকে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৭বছরের পুরনো আড়টকে ধ্বংসের পায়তারা।




ডুমুরিয়ার আঁঠারোমাইল বাজারে নতুন কাঁচামালের আড়টকে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৭বছরের পুরনো আড়টকে ধ্বংসের পায়তারা।

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর.খুলনা করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : এপ্রিল ১৪ ২০২৫, ২১:১১ | 615 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

ডুমুরিয়ার আঁঠারোমাইল বাজারে নতুন কাঁচামালের আড়টকে প্রতিষ্ঠিত করতে ১৭বছরের পুরনো আড়টকে ধ্বংসের পায়তারা করছে একটি মহল। এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একের পর এক ধ্বংস লীলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিপক্ষরা। এত বড় ধ্বংস স্তুপের পরেও পুরনো কাঁচামালের আড়টে ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠার পর ৫৪ টি ঘর নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করে এ প্রতিষ্ঠানটি। সেই থেকে অদ্যাবধি প্রায় ৫/৬শতাধিক পরিবার জীবন ও জীবিতা নির্বাহ এখান থেকে। কিন্তু প্রতিপক্ষের সরাসরি হস্তক্ষেপে একের পর এক ধ্বংস লীলা চালানো হচ্ছে এ আড়টে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিহিংসার আগুনে ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে আঠারোমাইলে পুরনো কাঁচাবাজার। খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে সড়ক জনপদের জায়গায় গড়ে ওঠা বাজারটির উপর আবারো অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। তবে এবার সড়ক জনপদের জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা হয়েছে। এতে বাজারের ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুর রহমান। রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত অভিযান পারিচালিত হয়।
জানা যায়, খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে আঠারোমাইলে প্রায় ১৭বছর আগে গড়ে ওঠা কাঁচাবাজার নিয়ে সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের মধ্যে দুটি গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে।
মূলত তাদের দ্বিধাদন্দে হিংসার আগুনে তপ্ত হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যবাহি আঠারোমাইলের কাঁচাবাজারটি। দীর্ঘদিন পর বাজারটি অপসারণ করতে নানাবিধ উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। কয়েকবার অভিযান চালিয়েছে। রোববারের অভিযানে স্কেভেটর দিয়ে সড়ক জনপদের সমতল জায়গা খুঁড়ে খানাখন্দ করা হয়েছে। তারপর কাটাতারের ঘেরা দেয়া হয়, যাতে এ জায়গায় বাজার পরিচালনা না করতে পারে।
বাজারের সভাপতি আতিয়ার রহমান বিশ্বাস জানান, আঠারোমাইল বাজারের পাশে বেতাগ্রাম কালভার্ট নামকস্থানে সম্প্রতি নতুন একটি কাঁচাবাজার হয়েছে। বাজারটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ উদ্বোধন করেছিলেন। বাজারটি প্রতিষ্ঠিত করতে এবং আমাদের বাজারটি বন্ধ করার জন্য নানা ধরণের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের দন্দের জেরে পরিচালিত অভিযানে দৃষ্টিকটু প্রতিফলিত হয়েছে। সড়কের পাশ দিয়ে কাটাতারের বেড়া দেয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচলের পথও আটকে পড়েছে। ব্যবসায়ী ডুমুরিয়ার মোহাম্মদ আলী, খর্নিয়ার শফিকুল ইসলাম, কাঁঠালতলা আব্দুর রাজ্জাক, তেতুলিয়া শহিদুল ইসলাম, পাইকগাছার ওহিদুল ইসলাম, মোংলা বাবুল, মদনপুরের আব্দুর রাজ্জাক, শুভাষিনীর আব্দুল মালেক জানায়, আঠারোমাইল বাজারে ১৭ টি বছর আমরা সকলে মিলে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করে আসছিলাম। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রেষারেষির কারণে নতুন আরও একটি আড়ট করা। বর্তমানে নতুন আড়টে কাঁচামাল না ওঠায়, ওরা পুরনো আড়টকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
নতুন কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শেখ নুরুল ইসলাম কৌহিনুর জানান, বর্তমানে আঠারোমাইল কাঁচাবাজারে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া বাজারটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায়। বাজারের পাশে গরুর হাট, মাছের আড়ত, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাপক যানজট লেগে থাকে। তাই বছর খানেক আগে বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা সম্মিলিতভাবে বেতাগ্রামে এ কাঁচাবাজার করেছি। কিন্তু কিছু ব্যবসায়ী জোরপূর্বক আঠারোমাইলে বাজার ধরে রাখতে চায়। যার কারণে হাইকোর্টের সরনাপন্ন হয়েছিলাম। মহামান্য হাইকোর্ট বাজারটি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মাসুদুর রহমান জানান, হাইকোর্টের আদেশ এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে আঠারোমাইল কাঁচাবাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। সড়ক জনপদের জায়গায় বাজার পরিচালনা করার কারণে সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিপূর্বে কয়েকবার অভিযান করেছি। ব্যবসায়ীদের বলেছি সড়কে যানজট সৃষ্টি হয় এমন কিছু না করতে। কিন্তু তারা কোন কথাই শুনেনি। তাই পুনরায় যাতে এই জায়গায় ব্যবসা না করতে পারে সেজন্য কাটাতারের বেড়া দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী তানিমুল হক জানান, আঠারোমাইল বাজারে অভিযানে সড়ক বিভাগের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। এটা বাজারে যানজট নিরসনে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়েছে। সেখানে কাটাতারের বেড়া দেয়ার কোন নির্দেশনা আমাদের নেই। সড়ক বিভাগের দাবি কাটাতারের বেড়া তারা দেয়নি, তাহলে খুঁটি ও তারের বেড়ার অর্থ যোগান দিল কে? এটাই সচেতন মহলের জিজ্ঞাসা।
Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET