খুলনার ডুমুরিয়ায় থুকড়া বাজার পাশ দিয়ে কাটাখালি খালে একাধিক স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। এতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার। আর ভেসে গেছে শতাধিক ঘেরের মাছ ও নষ্ট হচ্ছে ঘেরের আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি।
স্থানীয় প্রভাবশালী কর্তৃক কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও অবৈধ ভেড়ীবাঁধ অপসারণের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। সোমবার সকালে থুকড়া আমভিটা সড়কের শান্তিনগর রাস্তায় দাঁড়িয়ে শত শত নারী-পুরুষ এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আরাফাত হোসেন বিক্ষোভ কারিদের ন্যায্য দাবি অবৈধ বেড়ীবাঁধ অপসারণের আশ্বাস্ত করলে তারা বিক্ষোভ তুলে নেন।
উল্লেখ্য,থুকড়া এলাকার রামকৃষ্ণপুর শান্তিনগর বিলে সাইডখাল -কাটাখাল এক সময়ের প্রবাহমান খালে প্রভাবশালী কামরুল ইসলাম, জাহিদ হাসান, ফারুক হোসেন, মিলন, মনির সহ অনেকে ওই খালে একাধিক স্থানে আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে। ওই প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রভাব খাটিয়ে খালে অবৈধ আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে এভাবে দখলে রাখলেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। সম্প্রতি টানা বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনে বাঁধা হওয়ায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে তলিয়ে গেছে অজস্র মৎস্য ঘের, সবজি ক্ষেত ও বাড়িঘর। কথা হয় স্থানীয় ইউনুস গাজী, ইকবাল সরদার, সুমা রায়সহ একাধিক ব্যক্তির সাথে। তারা বলেন, প্রভাবশালী কর্তৃক খালে বাঁধ দেয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। ফলে আমাদের মৎস্য ঘের তলিয়ে মাছ ভেসে গেছে, ঘেরের আইলে বিভিন্ন ধরনের সবজি ক্ষেত নষ্টের উপক্রম হয়েছে। এছাড়া খাল না থাকায় আমাদের উৎপাদিত মাছ ও সবজি আনতে দ্বিগুণ খরচ বেড়ে গেছে।এক সময় ওই খাল দিয়েই আমরা মালামাল নৌকায় এনে সরাসরি রাস্তার পাশে ভিড়তাম। রাস্তার পাশে বসবাস রত ছালেহা বেগম বলেন,খালে বাঁধ দেয়ায় অতি বৃষ্টিতে ঘেরের পানি বেড়ে আমার বসত বাড়ি বারান্দায় উঠে গেছে। আমরা খুবই বিপদে আছি। আমরা এর প্রতিকার চাই।
Please follow and like us: