
আইটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি গড়ে তুলেছেন“ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল বাংলাদেশ” নামে এক আইটি কোম্পানি। যেখান থেকে আইটি খাতে সেবা নিচ্ছে অসংখ্য মানুষ। বলা হচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তা আরেফিন সৌরভের কথা। আইটিতে আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত এক বড় ভাইয়ের পরামর্শে তিনি প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন। এখন তার প্রতিষ্ঠানে প্রায় দেড়শো তরুণ-তরুণী কাজ করছেন এবং প্রতিটি সেক্টরে তাদের আলাদা জনবল রয়েছে।
সৌরভ বলেন, আমার কিছু বন্ধু আছে যারা আইটি নিয়ে কাজ করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে। ২০১৬ সালের দিকে তাদের দেখতাম ফেসবুকে আইটি নিয়ে অনেক সফলতার স্ট্যাটাস দিত, তখন তাদের দেখে বেশ হিংসেই হতো। এই হিংসেটা এক প্রকার অনুপ্রেরণা বলা যায়। তাদের কাজ দেখার পর তাদের চেয়ে ভালো কাজ করার এক উদ্দীপনা থেকে শুরু হয় আমার আইটি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি। ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার পর স্থানীয় এক কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নেই, শুরু হয় আইটি সেক্টরে আমার কাজ। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ডিজিটাল মার্কেটিংসহ বিভিন্ন কাজে সেবা দিয়ে যাচ্ছে সৌরভের ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল বাংলাদেশ।
এই তরুণ উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন তার এই প্রতিষ্ঠানকে একটি ইনস্টিউট হিসেবে গড়ে তোলার, যেখানে তরুণরা প্রশিক্ষণ নিয়ে ক্যারিয়ার গড়তে পারবে। পড়াশোনার পাশাপাশি তরুণরা যেন আয় করতে পারে ডিজিটাল প্লাটর্ফম থেকে এমন একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি।
তরুণ উদ্যোক্তা আরেফিন সৌরভ বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে আইটি সেক্টর অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দিনদিন প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা খাত বাড়ছে, মানুষ প্রযুক্তির দিকেই বেশি ঝুঁকছে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মানুষ তার ব্যবসা এগিয়ে নিতে পারে। তাই প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম দেশের শিল্প বাণিজ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
অনেক তরুণ চাকরি না পেয়ে হতাশায় ভোগে, সরকার প্রযুক্তিখাত বেশ উন্নতি করেছে, এখন যে কেউ চাইলে নিজের ক্যারিয়ার প্রযুক্তিতে গড়তে পারে। হতাশায় না থেকে প্রযুক্তি নির্ভয় হয়ে ক্যারিয়ার গড়ার অনেক বড় সম্ভবনা আছে আর তরুণদের এটি কাজে লাগানো উচিত বলে মনে করেন ক্রিয়েটিভ ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও তরুণ উদ্যোক্তা আরেফিন সৌরভ।
বেকারত্ব দূর করণে ভূমিকা রাখার আগ্রহের কথা জানিয়ে আরফিন সৌরভ আরও বলেন, ‘বেকারত্ব একটা অভিশাপ। আমি চাই এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনলাইন বিজনেস শিখুক। শুধু পড়াশোনা না করে পড়ালেখার সঙ্গে নিজেরা কিছু করতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং সুবিধা নেওয়া উচিত। প্রতিদিন আট থেকে ১০ ঘণ্টা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কাজ করতে পারলে বেকারত্ব ঘোচানো সম্ভব।
Please follow and like us: