সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি-জমার কাগজপত্র জেলা ভুমি অফিস থেকে তুলে দেয়ার কথা বলে এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির কাছ থেকে ৯০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক আশরাফ আলীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তালম ইউনিয়নের পাড়িল বরইচড়া গ্রামে। প্রতারক আশরাফ আলী একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী চাঁনপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পাড়িল বরইচড়া গ্রামের সোলেমান মন্ডলের শারীরিক প্রতিবন্ধি ছেলে ভুক্তভোগী আলামিন বলেন, বেশ কিছু দিন আগে আমার নানা-নানীর সম্পত্তির মায়ের অংশ বের করতে গিয়ে একটি খতিয়ানে ভুল পরিলক্ষিত হয়। ওই কাগজটি সংশোধনের জন্য পার্শ্ববর্তী চাঁনপুর গ্রামের আশরাফ আলীর কাছে পরামর্শের জন্য যাই। আশরাফ আলী সকল কাগজপত্র দেখে বলেন তিনি ওই ভুল খতিয়ানটি জেলা ভুমি অফিস থেকে ঠিক করে দেবেন। এ জন্য তিনি প্রথমে আমার নিকট থেকে ৩০ হাজার টাকা নেয়। তাছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় কারণে-অকারণে দফায় দফায় মোট ৯০ হাজার টাকা নেয়। পরে একদিন তিনি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলা ভুমি অফিসে নিয়ে গিয়ে একটি খতিয়ানের কাগজ দেয়। যার নং ৯৪ জেএল ২৯। পরে ওই খতিয়ান নিয়ে ভুল সংশোধনের জন্য তাড়াশ উপজেলা ভুমি অফিসে আবেদন করতে গেলে উহা ভুঁয়া বলে জানা যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি আশরাফ আলীকে জানালে এবং টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন আশরাফ কারো টাকা নিয়ে ফেরত দেয় না।
এ বিষয়ে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আশরাফ আলী আ’লীগ সরকারের সময় এলাকায় বিভিন্ন লোকের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত কাগজ পত্রের কাজ করে দেয়ার কথা বলে টাকা পয়সা নিয়ে প্রতারণা করেছেন। এব্যাপারে গোন্তা গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল জানান, আশরাফ আলী ভুক্তভোগী আলামিনের নিকট থেকে ২৪ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রতারক আশরাফ আলীর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি জানেন না এবং টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
Please follow and like us:










