কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের উত্তর শাকতলী গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে আলহাজ্ব মাওলানা মোজাম্মেল হকের মালিকানাধীন জামাল পোল্ট্রি খামার ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তার ভাই একরামুল হক (৫২), একরামের স্ত্রী জোৎ¯œা বেগম (৪০), ভাতিজা শাহাদাত হোসেন (৩৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৮-১০জনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে ভূক্তভোগী মোজাম্মেল হক। এসময় ভাংচুর ও লুটপাটকারীরা ওই খামার থেকে ১লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান ভূক্তভোগী। সর্বশেষ রবিবার সকালে মোজাম্মেল হক তার ভাংচুরকৃত পোল্ট্রি খামার দেখতে গেলে অভিযুক্তরা তাকে হত্যার হুমকি প্রদান করে বলে দাবি ভূক্তভোগী মোজাম্মেল হকের।
এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী মোজাম্মেল হক বলেন, জামাল পোল্ট্রি খামারের অবস্থান আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে। এ জমিটি আমি ক্রয় করার পর আমার বাবার জিবদ্দশায় অসিয়ত করার কারণে আমি আমার ক্রয়কৃত ৩৩ শতক জমি থেকে অর্ধেক জমি আমার ভাই একরামুল হককে প্রদান করি। আমার দখলিয় অংশে দীর্ঘদিন যাবৎ আমি পোল্ট্রি খামার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। আমি পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিআরবে গেলে গত ২৮রমজান আমার ভাই একরামুল হক, তার স্ত্রী ও ভাতিজা-সহ ৮-১০জন মিলে ভোররাতে আমার খামারের ঘরটি ভাংচুর করে এবং ১লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। রবিবার সকালে আমি আমার খামার দেখতে গেলে তারা সবাই মিলে আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত একরামুল হক বলেন, আমি জায়গা পাই তাই ঘর ভেঙ্গেছি। আমাদের সাথে মোজাম্মেলের পারিবারিক বিরোধ দীর্ঘদিনের। আপনারা আমাদের কাগজপত্র দেখলে বুঝতে পারবেন।
নাঙ্গলকোট থানা উপ-পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের আলোকে উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করেছি। মানামানি না হওয়ায় তাদেরকে আদালতের স্মরণাপর্ণ হওয়ার পরার্মশ দেয়া হয়েছে।