কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
ধানের চারা চুরির প্রতিবাদ করায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দফায়-দফায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকালে তিলিপ গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের চারা ধান গাছ চুরি করে পাশ্ববর্তী ময়ুরা গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ রতন নিজ জমিতে রোপন করার সময় গিয়াস উদ্দিনের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ ঘটনার জেরে রতনের নেতৃত্বে সোমবার দুপুর, রাত ও সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গিয়াস উদ্দিনের বাড়িতে দেশীয় আস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ঘরবাড়ি ভাংচুর ও নগদ টাকা-সহ মালামাল লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলায় ময়ূরা গ্রামের মোহাম্মদ রতনের নেতৃত্বে একই গ্রামের আবুল হোসেন, নবী, সাগর, মারুফ, রকি, পলাশ, রাসেল, আরমান, মোহাম্মদ রাসেল, আলো-সহ অন্তত ২শ’ জন অংশগ্রহণ করে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের। এসময় বাড়ি ঘরে ভাংচুর ঠেকানোর চেষ্টা করায় হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন ভ্ক্তূভোগী গিয়াস উদ্দিনের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল গফুর, মাতা মনোয়ারা বেগম, ভাই নাছির উদ্দিন, চাচাতো ভাই আজাদ ও ভাইয়ের মেয়ের জামাই রবিউল। আহতদের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হমলাকারীরা তাদের ঘর থেকে নগদ ৩৫হাজার টাকা, মোবাইল ও টর্চলাইট নিয়ে যায় বলে দাবি ভূক্তভোগীদের। পরে জাতীয় জরুরী সেবায় ফোন দিলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভূক্তভোগী গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার ধানের চারা চুরি করে নিয়ে গিয়ে নিজ জমিতে লাগানোর সময় আমি ময়ূরা গ্রামের রতনকে হাতেনাতে আটক করি। এনিয়ে রতন কয়েক দফায় আমাদের বাড়িতে হামলা করে সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে ২শ’ স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর ও নগদ ৩৫হাজার টাকা, মোবাইল ও টর্চলাইট নিয়ে যায়। তাদের হামলায় আমার মা,বাবা, দুই ভাই ও আমার ভাতিজি জামাতা আহত হয়। আমি এ হামলার ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
অভিযুক্ত রতন বলেন, আমাদের মাঝে ধানের চারা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় এনিয়ে মঙ্গলবার রাতে সালিস বৈঠক হওয়ার কথা ছিলো। পরে তারা সালিসের স্থানে না এসে রাস্তায় অবস্থান নেয়, আমরা বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় তারা আমাদের উপর অর্তকৃত হামলা চালায়।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক বলেন, জাতীয় জরুরী সেবায় অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ ফেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।