
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের বটতলী বাজারে গত সোমবার গভীর রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে এক ব্যবসায়ির দোকান ঘর গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বটতলী বাজার কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা কায়কোব্বাতের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মরহুম শাহ আলম ভুঁইয়ার ছেলে তোফায়েল হোসেন বাদী হয়ে কাশিপুর গ্রামের কায়কোব্বাত, তার ভাই শামসুল হক ভূঁইয়া ও ভেকু মেশিন চালক নারাচৌঁ গ্রামের শামীমকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপপরিদর্শক টিটু সঙ্গীয় ফোর্স মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৭০সালে লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের নিকট থেকে সাড়ে ৩৭ শতক জমি ক্রয় করেন একই গ্রামের শাহ আলম ভূঁইয়া। যাহা পরবর্তীতে শাহ আলম ভূঁইয়ার নামে বি.এস ৩০৮ ও ৩৪৫ খতিয়ান সৃজিত হয়। শাহ আলম ভূঁইয়ার জীবদ্দশায় এ জমিটি তিনি ভোগ দখল করেন। কিন্তু উনার মৃত্যুর পর এ জমিটির কিছু অংশ নিজেদের দাবি করেন কাশিপুর গ্রামের মরহুম মমতাজ মিয়ার ছেলে কায়কোব্বাত ও তার পরিবারের লোকজন। সর্বশেষ গত সোমবার অভিযুক্তরা জমিটি নিজেদের দাবি করে দোকান ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে বলে দাবি ভূক্তভোগীদের।
এ ব্যাপারে দোকান মালিক তোফায়েল হোসেন বলেন, আমার বাবার ৫৫বছর পূর্বে ক্রয়কৃত জমি আমরা এতো দিন যাবৎ ব্যবহার করে আসছি। পাশ্ববর্তী জমিটির মালিক উনাদের জায়গায় ভাউন্ডারি দেয়াল করে নিজেদের জমিতে দখলে আছে, হঠাৎ গত কয়েক মাস যাবৎ উনারা দাবি করছে আমাদের জমিতে তাদের কিছু জমি আছে। আমার প্রশ্ন হলো উনারা নিজেদের জমিতে ভাউন্ডারি করার পর আবার ভাউন্ডারি পার হয়ে এখন কিভাবে আমাদের জমিতে দাবি করে। তাছাড়া গত সোমবার রাতে ভেকু মেশিন দিয়ে আমাদের দোকান ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে কায়কোব্বাত। আমরা তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাই।
অভিযুক্ত বটতলী বাজার কমিটির সভাপতি কায়কোব্বাত বলেন, কয়েকবার জমিটি পরিমাপ করা হয়েছে। তাদের জমির ভিতরে আমাদের জমি থাকায় তাদেরকে ছেড়ে দিতে বলেছি, কিন্তু তারা আমাদের জমি কোন ভাবেই ছেড়ে দিচ্ছে না। পূর্বে পরিমাপ ছাড়া করা আমাদের ভাউন্ডারি দেয়াল ভাঙ্গার সময় তাদের পরিত্যাক্ত ঘরটি পড়ে গিয়েছে। তারা যদি এখনো আমিন এনে পরিমাপ করে আমাদের কাছে জায়গা পায় আমি সাথে সাথে ছেড়ে দিব।
নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ এ কে ফজলুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়েছে।