কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাকীহাটি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন-সহ মধ্যপাড়ার শতাধিক পরিবারে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দখল করে বাউন্ডারী দেয়াল নিমার্ণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মরহুম ইছহাক মিয়ার ছেলে এরশাদ উল্লাহ বেলালের বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত এরশাদ উল্লাহ বেলাল নিজবাড়ির বাউন্ডারী দেয়াল করার জন্য রাস্তা দখল করে বেইচ ঢালাইয়ের জন্য গর্ত খুঁড়ছে। এ সময় সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি বাড়ির ভিতরে চলে যান, অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি আর বের হয়ে আসেননি।
এ ব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার, আমার পরিবার সহ এ রাস্তাটি দিয়ে ১শ’ পরিবারের বেশী মানুষ চলাচল করে এবং আমাদের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে যাতায়াত করে। রাস্তাটি ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইটের সলিং করে দেয়া হয়েছে। এ রাস্তাটি দখল করে বেলাল বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণ করছে। আমাদের চলাচলের রাস্তাটি রক্ষা করতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ও অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে পাকা করণের দাবি জানাচ্ছি।
স্থানীয় সমাজসেবক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ রাস্তাটি সরকারী একয়ার করা ও কাবিখার প্রজেক্টের অর্ন্তভূক্ত রয়েছে। বক্সগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তাটিতে ইটের সলিং করা হয়েছে, তাছাড়া রাস্তাটি পাকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। যেকোন রাস্তা পাকাকরণ করার জন্য কমপক্ষে ১২ ফুট প্রস্থ জায়গা থাকতে হবে কিন্তু বেলাল রাস্তাটির ৪/৫ ফুট দখল করে জোর পূর্বক রাস্তার উপর বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণের জন্য বেইচ খুঁড়ছে। আমরা এ রাস্তাটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বেলাল হোসেন মুঠো ফোনে বলেন, আমার প্রেসার উঠেছে, এখন আমি কথা বলতে পারবো না। তাছাড়া বিষয়টি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সমাধান করে দিয়েছে।
ইউপি সদস্য আফজাল হোসেন বলেন, বাড়ি নিমার্ণ করতে রাস্তার জায়গা ছেড়ে দিয়ে করা উচিত, কিন্তু বেলাল বাড়ি করার সময় রাস্তার মধ্যে বাউন্ডারী ওয়াল নিমার্ণ করছে। ফলে রাস্তাটি ব্যবহারকারী শতাধিক পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাছাড়া এ রাস্তাটিতে সরকারী ব্রিকস সলিং করা হয়েছে।