
মোঃ শাহাদাত হোসেন, নাঙ্গককোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি- কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দায়িত্ব অবহেলায় জর্জরিত হয়ে হাসপাতাল নিজেই এখন নানান অসুস্থতায় ভুগছেন। জনবল সংকট সমস্যা দীর্ঘদিনের হলেও দেখার কেউ নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ দেবদাস দেবের দায়িত্ব অবহেলায় এমন জর্জরিত হাসপাতালটির। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে দিনে-দুপুরে বিভিন্ন আঙ্গিনায় জ্বলছে বৈদ্যুতিক বাতি। পুরুষ, মহিলা ওয়ার্ডে অপরিষ্কার বাথরুম, আবার কোনটির দরজা ভাঙা, গোসলখানায় নেই বালতি, কোন কোন বেডে রুগী চলে যাওয়ার পরও উঠানো হয়নি বিছানা চাদর। হাসপাতালের একটি ভবন ২০২১ সালে উদ্ভোদন করা হলেও অযত্ন অবহেলায় শেওলা পড়ছে বিভিন্নস্থানে। হাসপাতালে ICU থাকলেও নির্দিষ্ট ব্যাক্তি ছাড়া সেবা দেওয়া হয় না এখানে। আল্টাসনোগ্রাফি বিভাগটি সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত সেবা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও কখনো সকাল ১০ টায়, কখনো দুপুর ১২ টায় গিয়ে টেকনিশিয়ান পাওয়া যায় না। হাসপাতালের নার্সদের তথ্য অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর, শুক্রবার পুরুষ, মহিলা ও শিশু রুগীর সংখ্যা ৩৭ জন।
কিন্তু পুরো হাসপাতাল গুরে পুরুষ ওয়ার্ডে ৩জন, ডায়রিয়া ইউনিটে ৭জন, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ১৯জন, সব মিলিয়ে ২৯জন রুগী ভর্তি দেখা যায়। সংখ্যার গড়মিলের কারণ জানতে চাইলে হাসপাতাল নার্স সুপারভাইজার শাহিদা বেগম বলেন, রুগীরা অনেকেই না বলে বাড়িতে গোসল করতে ও খানা খেতে চলে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের মূল ফটকে সর্বদা তালা ঝুলানো দেখা যায়। বিভিন্ন জায়গায় পানি জমাট বেঁধে রয়েছে। সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল পরিস্কার করতে দেখা যায় স্টাফদের। হাসপাতালে ভর্তি থাকা একাধিক রুগী বলেন, আমাদেরকে দুপুর ও রাতের খাবার দুপুর ১২ টার সময় এক সাথে দিয়ে দেওয়া হয়, রাতে আমরা চাইলে তরকারি গরম করার কোন ব্যবস্থা নেই। এবং হাসপাতালে কোন নামাজের জায়গা নেই। বাথরুমে দরজা ভাঙা, ভিতরে প্রবেশ করলে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থাকি। নামে গোসলখানা থাকলেও গোসলের নেই কোন পরিবেশ। এসব অনিয়মের ও দায়িত্ব অবহেলার কারণ জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ দেব দাস দেবকে কল করলে সাংবাদিক পরিচয় নিশ্চিত হয়ে নাম্বার ব্লক করে দেন। জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নাছিমা আক্তার বলেন, আমি খবর নিয়ে আপনাদেরকে জানাবো।