
কুমিল্লা নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া হোমনাবাদ আদর্শ ডিগ্রী কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি পদে এডভোকেট শাহজাহানকে গত ২৭ জানুয়ারী সোমবার পূর্ণবহাল করেছে হাইকোর্ট। এডভোকেট শাহজাহানকে পূর্ণবহাল করায় কলেজ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা যায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট শাহজাহানকে এডহক কমিটির সভাপতি মনোনয়ন প্রদান করেন। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর কলেজের বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কলেজ অধ্যক্ষ আওয়ামীলীগ নেতা মীর জাহাঙ্গীর আলমের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য অর্থ আত্মসাৎ ও অসদাচরণ বিষয় গুলো প্রমাণ হওয়ায় অধ্যক্ষকে গত ৩১ ডিসেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়াও তার অনিয়ম বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ, তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ এখনো চলমান রয়েছে। অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকে আওয়ামীলীগ নেতা অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীর আলম কলেজ সভাপতি এডভোকেট শাহজাহানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। পরে সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ ও কিছু দুর্নীতিবাজের সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ডকুমেন্ট উপস্থাপন না করে রাজউক কর্মচারী জাফর সাদেককে গত ৩১ জানুয়ারী সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়। শাহজাহানকে সভাপতি থেকে বাদ দেয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষেপে উঠে। পরবর্তীতে এডভোকেট শাহজাহান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনয়নের বিরুদ্ধে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট ২৭ জানুয়ারী জাফর সাদেকের সভাপতির মনোনয়ন স্থগিত করে এডভোকেট শাহজাহানের কমিটি পূর্ণবহাল করে দেন।
এডভোকেট শাহজাহান বলেন, আমাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নিয়োগ দেয়ার পর থেকে দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ, ফ্যাসিস্ট আ’লীগ ও বিএনপি নামধারী কিছু দুর্নীতিবাজের সহায়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন তথ্য উপস্থাপন না করে জাফর সাদেককে সভাপতি করে। এ ব্যাপারে আমি হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ২৭ জানুয়ারী সোমবার জাফর সাদেকের সভাপতির মনোনয়ন স্থগিত করে আমাকে সভাপতি হিসাবে পূর্ণবহাল করা হয়।
জাফর ছাদেক বলেন, হাইকোর্টের রিট পিটিশনের ব্যাপারে আমি শুনেছি। আগামী রবিবার শুনানী হবে।