পরস্পর যোগসাজসে প্ররোচনা দিয়া পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে স্থানান্তর, আবাসিক হোটেলকে পতিতালয় হিসেবে ব্যবহার ও সহযোগিতার অপরাধে হোটেল মালিক ম্যানেজার সহ ৮ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ই মে) বাগেরহাটের হরিণখানা এলাকার মৃত সুলতান হাওলাদারের ছেলে শহীদ হাওলাদার (৫৮) বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর আগে সোমবার বাগেরহাটের বাসস্ট্যান্ড এলাকার লেকফুজি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, লেকফুজি আবাসিক হোটেলের মালিক বাগেরহাট জেলা সদরের কাড়াপাড়া এলাকার মৃত আজহারুল ইসলামের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম (৩৩), দত্তকাঠি এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ আসাদুজ্জামান (৫০), খারদার এলাকার শেখ শহিদুল ইসলামের ছেলে তাসলিম ফেরদাউস সাহিল (২০), মগরা এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদার এর ছেলে ইব্রাহিম হাওলাদার (২৫), সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ হাড়দ্দহা এলাকার আব্দুর রাশেদের ছেলে মিরাজ হোসেন ৩২), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া আলম নগর এলাকার মোশারফ সরকারের ছেলে ইকবাল সরকার (৩২), বাগেরহাটের শরণখোলা রায়েন্দা বাজার এলাকার হায়াতুজ্জামান এর কন্যা মিশু (৩১) এবং বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ কচুবুনিয়া এলাকার মিজান শেখের কন্যা সোমা খাতুন (২৯)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য, তারা বাগেরহাটের একটি স্বনামধন্য বালিকা বিদ্যালয়ের ১৫ ও ১৬ বছরের দুই ছাত্রীকে প্রলোভন দেখিয়ে লেকফুজি আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তির জন্য নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাদের অভিভাবক (মামলার বাদী) সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার সময় বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশের সহায়তায় লেকফুজি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের উদ্ধার করে। মামলার এজাহার সূত্রে আরও জানা যায় , হোটেল মালিক আমিরুল ইসলাম তার ম্যানেজার আসাদুজ্জামানের সহযোগিতায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বয়সের নারীদের প্রলোভন দেখাইয়া লেকফুজি আবাসিক হোটেলে আনিয়া পতিতাবৃত্তি করাইয়া আসিতেছে।