রাজশাহীর পুঠিয়ায় অবৈধভাবে পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি বন্ধে মাঠে নেমেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ,কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর। সোমবার (২৪ জুন) বিকেল
৪টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার মঙ্গলপাড়া মৌজার গাড়াগাছি বিলে বাগমারার উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ বাবুল খাঁ প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে জহুর মেম্বারের মালিকানাধীন পুকুর সংস্কারের নামে ১০০ বিঘা ধানী জমিতে ১০-১৭ ফুট গভীর পর্যন্ত মাটি খনন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও এ,কে,এম নূর হোসেন নির্ঝর পুঠিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপস্থিতি টের পেয়ে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর ও মাটি খননযন্ত্র স্কেভেটোর রেখেই পালিয়ে যায়। চক্রটি পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব না হওয়ায় অবৈধভাবে ভূগর্ভস্থ মাটি উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে তাদের স্ক্যাভেটর অকেজো করাসহ ২টি ব্যাটারী এবং
অন্যান্য আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
এছাড়াও একইদিনে একই ইউনিয়নের রাতোয়াল ও পঁচামাড়িয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক। এসময় অবৈধভাবে পুকুর খননের দায়ে মাটি খননের কাজে ব্যবহৃত দুটি স্ক্যাভেটর মেশিন অকেজো করাসহ আরও তিনটি ব্যাটারী জব্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ,কে, এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, ভাল্লুকগাছী, জিউপাড়া, বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নে অনেক জমির মালিক সরকারি অনুমতি না নিয়ে তাদের ইচ্ছেমত দিনে-রাতে পুকুর সংস্কার ও ফসলি জমির মাটি বিক্রির কাজে লিপ্ত রয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে কেউ পুকুর সংস্কার করতে পারবে না। আইন না মানলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান অব্যহত থাকবে।
এক্ষেত্রে তিনি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পুকুর খননকারীদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।