
সম্প্রতি দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নর্দান ইলেক্টিক্র সাপ্লাই কোম্পানী নেসকো বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার স্থাপনের অপচেষ্টা শুরু করায় ফুসে উঠেছে স্থানীয় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। দলমত নির্বিশেষে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে গ্রাহকরা আন্দোলন শুরু করেছে । এ নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করাসহ স্থাপিত মিটার তুলে নেয়ার দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় সম্মিলিত নাগরিক সমাজ এর ব্যানারে পৌর শহরের নিমতলা মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ব্যানার ফেস্টুন হাতে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন করেন স্থানীয় বিদ্যুত গ্রাহকরা ।
মানববন্ধনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহবায়ক হামিদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাবেক ছাত্রনেতা মোত্তালিব পাপ্পুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন,তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল। পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি মমতাজ চৌধুরী,সাবেক কাউন্সিলর আ. জব্বার মাসুদ, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মানিক মন্ডল, কমিউনিস্ট পার্টির উপজেলা সভাপতি এসএম নুরুজ্জামান,পৌর জামায়াতের আমীর ডা. জাকারিয়া হোসেন,সম্মিলিত নাগরিক সমাজের উপদেষ্টা আবুল বাশার,সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব সুরুজ আলী,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা জাকির আহমেদ,জাতীয় গণফ্রন্টের ফুলবাড়ী শাখার সমন্বয়ক কমল চক্রবর্তীসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন,বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের নিয়োগকৃত দোসরদের এদেশে রেখে গেছেন তাদের জন-ভোগান্তির প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। দুর্ভোগের আধুনিক মেশিন প্রিপেইড মিটার কোন ভাবেই স্থাপন করতে দেয়া হবেনা। ফুলবাড়ীর মানুষ এটা চায়না,এটা হতে দিব না। তারপরেও নেসকো যদি জোর করে এটা চাপিয়ে দিতে চায় তবে ফুলবাড়ীর সকল স্তরের মানুষ তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে। তারা আরও বলেন, ফুলবাড়ীর মানুষ জানে কিভাবে আন্দোলন করতে হয়। যেমনটি তারা করেছিল ২০০৬ সালে বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে।
মানববন্ধন শেষে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে সমবেত হন। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা বরাবর আওয়ামী সরকারের প্রকল্প প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেন।