৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

শিরোনামঃ-




ফুলবাড়ীতে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু;পরিবারের দাবি হত্যা

মোঃ আবু শহীদ, ফুলবাড়ী,দিনাজপুর করেসপন্ডেন্ট।

আপডেট টাইম : ফেব্রুয়ারি ২২ ২০২৪, ১৫:৪৭ | 726 বার পঠিত | প্রিন্ট / ইপেপার প্রিন্ট / ইপেপার

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শেপনা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবী তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। এঘটনায় নিহতের স্বামী হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধু শেপনা বেগম (৩২) পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের আটোরিক্সা চালক হাফিজুল ইসলামের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার চর তরফসাদি গ্রামের রিস্কা চালক শাখাওয়াত হোসেনের মেয়ে গৃহবধু শেপনা বেগম এর সাথে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে হাফিজুল ইসলামের বিবাহ হয়। এরই মাঝে গত ১৫দিন অগে শেপনা বেগম তার বাবার বাড়ীতে বেড়াতে যান। গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে উত্তর কৃষ্ণপুর স্বামীর বাড়ীতে এলে জানতে পারেন তার অনুপস্থিতিতে স্বামী হাফিজুল ইসলাম আরও একটি বিয়ে করেছেন। এ নিয়ে উভয়ের মাঝে ঝগড়া-বিবাদ হয় এবং শেপনা বেগম কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ নির্যাতন করেন তার স্বামী হাফিজুল ইসলাম। এরপর ওইদিন সন্ধ্যায় শেপনা বেগম ইঁদুরমারা বিষ পান করেছে বলে অসুস্থ্য অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন তার স্বামী। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে স্বামী হাফিজুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক শেপনা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে রাত সোয়া ১১টায় মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় আনেন।
এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা বললে হাফিজুলের প্রথম স্ত্রীর মা পারভিন বেগম বলেন, প্রথমে তার মেয়ে মেহের বানুর সাথে বিয়ে হয়। এরপর তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু হাফিজুলের নির্যাতনে চার বছর পুর্বে তার মেয়েকে একই ভাবে মৃত্যু বরণ করতে হয়। পরবর্তীতে তারা থানায় মামলা করলেও বিচার পাইনি । তাই হাফিজুলের সাহস আরও বেড়ে গেছে।
অপরদিকে খবর পেয়ে পরেরদিন বুধবার সকালে শেপনা বেগম এর বাবা, বড় চাচা এবং নানা-নানী ফুলবাড়ী থানায় আসলে পুলিশ মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
শেপনা বেগমের নানা আফসার আলী ও চাচা আব্দুস সাত্তার জানান, বিয়েরপর থেকে প্রায় সময় নেশাগ্রস্থ অবস্থায় যৌতুকের জন্য শেপনা বেগমকে তার স্বামী হাফিজুল ইসলাম নির্যাতন করতো। নির্যাতন করেই তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। সে কারণেই সে পালিয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা মামলা করার কথা জানান তারা।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে, মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য ময়না তদন্ত করতে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার স্বামী হাফিজুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Please follow and like us:

সর্বশেষ খবর

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি- আলহাজ্ব আবদুল গফুর ভূঁইয়া,সাবেক সংসদ সদস্য, প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী, সম্পাদক- আশরাফুল ইসলাম জয়,  উপদেষ্টা সম্পাদক- নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

 

ঢাকা অফিস : রোড # ১৩, নিকুঞ্জ - ২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯,

সম্পাদক - ০১৫২১৩৬৯৭২৭,০১৬০১৯২০৭১৩

Email-dailynayaalo@gmail.com নিউজ রুম।

Email-Cvnayaalo@gmail.com সিভি জমা।

প্রধান সম্পাদক কর্তৃক  প্রচারিত ও প্রকাশিত।

 

সাইট উন্নয়নেঃ ICTSYLHET