
ফুলবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে লীজকৃত কানাহার পুকুর নিয়ে ষড়যন্ত্র,অপপ্রচার ও দূর্নীতি পরায়ন অপ-সাংবাদিকতার নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা লিয়াজো কমিটি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম কর্তৃক ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে,মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ১৯৭৮ সালে এককালীন প্রদত্ত কানাহার পুকুর সম্পর্কে অপতৎপরতা ও বিরূপ প্রচার এবং দুর্নীতিপরায়ন, অপসাংবাদিকতা সম্পর্কে কথিত সাংবাদিক হারুন এর বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের এই মত বিনিময় সভা করেছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা লিয়াজো কমিটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কর্যালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী আকন্দের সভাপতিতে মত-বিনিময় সভার শুরুতে কোরআন তেলোয়াত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মোল্লা,গীতা পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত। এসময় কানাহার পুকুর নিয়ে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এছার উদ্দীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মোল্লা।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পূর্ব-দক্ষিন রণাঙ্গনের ০৬ থানার যুদ্ধকালীন জুনিয়র কমিশন অফিসার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনসুর আলী সরকার বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আমন্ত্রনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ২২ মে ফুলবাড়ীতে এসে ফুলবাড়ী কলেজ মাঠে জনতার উদ্দেশ্যে ভাষন প্রদান কালে ফুলবাড়ীর বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক দাবী জানানো হয়। ফুলবাড়ী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পরিত্যাক্ত ও ব্যবহারের অনুপযোগী ভুতড়ে ভরাট কানাহার পুকুরটি এককালীন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে পুকুরটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নামে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান লীজ প্রদান করেন। পুকুরটি সংস্কারের জন্য স্কীম প্রণয়ন করে সেখানে ৫৪০০মন গম ও পরে আরও ৬০০ মন গম ব্যয় করে ০৩ বছর ধরে সংস্কার করার পর মাছ চাষের যোগ্য করা হয়। সরকারি নিয়ম নীতি মেনে ১৯৮১ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধারা তা ভোগ দখল করে আসছে। সেই পুকুর লীজ থেকে যে আয় হয় তা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের দুঃসময়ে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও তিনি দাবী করেন,তাদের প্রচেষ্ঠায় পুকুরের পশ্চিম পাড় সংস্কার ঘাট নির্মাণ,হাফেজিয়া মাদ্রাসা,মরদেহ রাখার ঘর নির্মাণ ঈদগাঁ ও জানাযার জন্য একটি মাঠ স্থাপন করা হয়েছে ।
তিনি আরো বলেন,উত্তর এবং দক্ষিণ দিকে ফুলবাড়ীর জাতীয় কবরস্থান রয়েছে। করব স্থান সংস্কারের বিষয়ে সর্বাত্বক সহযোগীতা করার আশ্বাস দিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর পরেও ফুলবাড়ীর জনৈক্য কথিত সংবাদকর্মী মোঃ হারুন কানাহার পুকুর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে এবং নিয়োগ কৃত কেয়ার টেকার শফিকুর ইসলাম (বুলু) এর নিকট ২৫ হাজার টাকা জোর পূর্বক উৎকোচ নিয়েছেন এবং আরও ১লক্ষ টাকা দাবী করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মুক্তিযোদ্ধা লিয়াজো কমিটি। ফুলবাড়ীর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখ জনক এবং এই কর্মকান্ডের জন্য ফুলবাড়ীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ঘৃণাভরে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন তিনি। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমন্বয় ও লিয়াজো কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম, জনাব আলী শাহ, আবুল কাশেম ও জামাল উদ্দীন প্রমূখ। এসময় ফুলবাড়ীর সকল মুক্তিযোদ্ধাসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কানাহার পুকুরের কেয়ার টেকারের কাছে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাংবাদিক মোঃ হারুন-উর-রশিদ।