বাংলাদেশের ফ্যাশন ও সংস্কৃতির ইতিহাসে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বাংলাদেশ ফ্যাশন রানওয়ে অ্যাওয়ার্ড ২০২৫। রাজধানীর বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানে আয়োজিত এ জমকালো অনুষ্ঠানে দেশের বিনোদন, সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও উদ্যোক্তা অঙ্গনের একঝাঁক তারকাকে সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সাংবাদিক লিটু হাসানের হাতে ডিজিটাল মিডিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া।
সিজন-১ হিসেবে আয়োজিত এ প্রথম আসরে সেরা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন নাটক, ওটিটি কনটেন্ট, গান, নাচ এবং সাংবাদিকতাসহ মোট ২০টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাংবাদিক লিটু হাসান ডিজিটাল সাংবাদিকতায় সৃজনশীল অবদান, ইতিবাচক সংবাদধারা গড়ে তোলা এবং সংস্কৃতি সাংবাদিকতায় ধারাবাহিক কাজের জন্য এ সম্মাননা লাভ করেন।
পুরস্কার গ্রহণের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে লিটু হাসান বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে এক অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করছে। যখন ফ্যাশন শোর মাধ্যমে সংস্কৃতিমনস্ক মানুষদের কাজকে সম্মান জানানোর কথা ভাবা হয়েছিল, তখন দেশে এমন আয়োজন হাতে গোনা। এ আয়োজন সংস্কৃতিকর্মীদের জন্য নিঃসন্দেহে এক বড় অনুপ্রেরণা। এমন একটি সম্মানজনক সংগঠনের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি চেষ্টা করবো ভবিষ্যতেও এই সম্মানের মূল্য ধরে রাখতে।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত লিটু হাসান দেশের ডিজিটাল সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ওয়েব টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়াভিত্তিক সংবাদচর্চাকে জনপ্রিয় করেছেন তথ্যবহুল, ইতিবাচক ও সংস্কৃতিমূলক কনটেন্টের মাধ্যমে।
শুরুটা করেছিলেন স্থানীয় পত্রিকার বিনোদন পাতায় লেখা দিয়ে। ধীরে ধীরে যুক্ত হন জাতীয় দৈনিকে, পরে অনলাইন সাংবাদিকতায় নিজের অবস্থান গড়ে তোলেন। সংস্কৃতি ও শিল্প অঙ্গনের খবর, নাট্যব্যক্তিত্ব, সংগীতশিল্পী ও তরুণ উদ্যোক্তাদের গল্প তুলে ধরায় তাঁর বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
সহকর্মীরা বলেন, লিটু হাসানের পুরস্কার পাওয়া শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের জন্য প্রেরণার উৎস।
নয় আলো নিউজ পোর্টালের সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জয় বলেন, লিটু হাসান ডিজিটাল সাংবাদিকতায় নতুন ধারার সূচনা করেছেন। তিনি খবর লেখেন না, গল্প বলেন সময়, মানুষ ও সমাজের গল্প। তাঁর কাজ তরুণ সাংবাদিকদের জন্য অনুকরণীয়।
অনলাইন টেলিভিশন সাংবাদিক শরিফা ইসলাম বলেন, লিটু ভাই সবসময় পজিটিভ নিউজে বিশ্বাসী। তিনি দেখিয়েছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মেও সৎ ও গঠনমূলক সাংবাদিকতা করা সম্ভব। এই পুরস্কার তাঁর দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল।
লিটু হাসান বিশ্বাস করেন, সংস্কৃতি সাংবাদিকতা কেবল বিনোদনের খবর নয়, এটি সমাজের মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন। তাঁর কাজের মধ্যে সবসময় মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইতিবাচক বার্তা থাকে। এ কারণেই তিনি পাঠক ও দর্শকের কাছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন।
বাংলাদেশ ফ্যাশন রানওয়ে অ্যাওয়ার্ডে তাঁর এই স্বীকৃতি শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং ডিজিটাল সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।










