বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) নতুন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) সহকারী রেজিস্ট্রার এস এম আহসান হাবিব স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই নিয়োগগুলি দেওয়া হয়।
নতুন নিয়োগের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন ফিশারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাদীকুর রহমান, মির্জা আজম হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ফরহাদ আলী এবং পরিবহন কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আল মামুন সরকার।
এই নিয়োগগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, প্রশাসনিক এবং একাডেমিক দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলামের অনুমোদনে সম্পন্ন হয়েছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষত, দুটি পদে ফিশারিজ বিভাগের শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ায় বৈষম্য এবং বিভাগ প্রীতি নিয়ে সমালোচনা ওঠে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “পক্ষপাতিত্ব ভাবে দেওয়া হয়নি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে গিয়ে দেখেছি শিক্ষার্থীদের একটা দাবি ছিল যে এমন শিক্ষক বা কর্মকর্তা কর্মচারীদের যেন দায়িত্ব দেওয়া হয় যারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ছিল। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীই ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর ছিল। সে কারণে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শিক্ষক কম। যারা পক্ষে ছিলেন তাদের অনেককেই দায়িত্ব পালন করছেন যেমন সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হুমায়ুন করির তিনি আইসিটি ছেলের পরিচালকের দায়িত্বে আছেন। নির্বাহী প্রকৌশল এর পদটি চুক্তিভিত্তিক ছিল সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সেখানে ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান ড রাশিদুল ইসলাম স্যারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক ড. আল মামুন সরকারকে পরিবহন পুলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। সবার পরামর্শের প্রেক্ষিতেই কিন্তু দায়িত্ব গুলো দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা বিভিন্ন পদে রয়েছেন। সামনে আরো শূন্য থাকা পদে অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা দায়িত্ব পাবে। সমাজকর্ম বিভাগ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও গণিত বিভাগের শিক্ষকদের সাথেও দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ করেছি তারা আরও একটু সময় চেয়েছেন।
আরো বলেন, প্রভোস্ট হিসাবে ফিশারিজ বিভাগের ড. ফরহাদ আলী স্যারকে দায়ীক্ত দেয়া হয়েছে। সেখানে ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. এনামুল হক ও জিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন হাউস টিউটর হিসেবে রয়েছেন।প্রক্টর ও প্রোভস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক যারা বিশ্ববিদ্যালয় কাছাকাছি থাকে তাদেরকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
রাতের নিয়োগ দেয়া হয়েছে এমন একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে এমন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে না, গতকাল অফিস টাইমেই আদেশটি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন মন্ত্রণালয় বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রজ্ঞাপন গুলো দুপুরে, সন্ধ্যায় বা রাতে প্রকাশ করে থাকে। গতকাল শেষ কর্ম দিবস হওয়ায় সবাই অনেক ব্যস্ত ছিল। যার কারণে রাতে সবাইকে অবগত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেসবুক পেজ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।’
Please follow and like us: