বাগেরহাটে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। গেজেটভুক্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন স্থানীয়রা।অতিদ্রুত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকার শাখা সূত্রে জানাযায়, গেল ৫ আগস্টের পরে বাগেরহাটের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের কেউ-ই নিয়মিত অফিস করছেন না। এর প্রেক্ষিতে ৩ ডিসেম্বর ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানদেরকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করেছে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান। যেটাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে গন্য করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টরা।
চিঠির তথ্য অনুযায়ী, বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া, রাখালগাছি, কাড়াপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর ও যাত্রাপুর, ফকিরহাট উপজেলার বাহিরদিয়া-মানসা এবং রামপাল উপজেলার বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়ণের বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) দুপুরে পরিষদের সামনে রাখালগাছি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ফারাজীর অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে স্থানীয়রা।বিক্ষোভে অংশগ্রহনকারী স্থানীয় বিএনপি কর্মী মোঃ আরিফ শেখ বলেন, রাখালগাছি ইউনিয়ান শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ফারাজীকে পরিষদের দায়িত্ব প্রদান করে আওয়ামী লীগকে পুন:বাসনের চেষ্টা চলছে। এই গেজেট বাতিল করে নিরপেক্ষ কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করতে হবে। আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদনও করেছি। মনিরুলকে দ্রুত অপসারণ না করা হলে আরও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এদিকে গোটাপাড়ায় দায়িত্ব প্রাপ্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমাম হাসান জেলাল, বেমরতায় কামাল হাওলাদার ও বিষ্ণুপুর এলাকায় দর্জি আজমল হোসেনকে অপসারণের দাবিতে এদিন বিকেলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গোটাপাড়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা আবুল হাসান বলেন, বেশিরভাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা অথবা আ,লীগের ক্যাডারদের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। রবিবারের মধ্যে এই গেজেট বাতিল ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের অপসারণ না করা হলে আরও বড় ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এবিষয়ে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল আহসান বলেন, পরিষদকে সচল করতে প্যানেল চেয়ারম্যানদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। কিছু ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও বিতর্ক রয়েছে, তাদেরকে পরিবর্তন করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Please follow and like us: