
বাগেরহাটে সজিব তরফদার (৪০) নামের বিএনপির এক নেতাকে দিনে দুপুরে প্রথমে গুলি করে পরে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় কামাল (৫৫) নামে আরো এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ই নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট জেলা সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মধ্যপাড়া মসজিদের সামনে এই হত্যাকান্ডের ঘঠনা ঘটে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী পুলিশ পিবিআই সিআইডি সহ প্রশাসনের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত কামালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা সজীব তরফদার একটি এপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল যোগে বাগেরহাট থেকে দিমায় তার নিজের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর মসজিদের কাছে কয়েকজন সন্ত্রাসী তার গতিরোধ করে গুলি করে। পরে সে পড়ে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তার শরীরে কয়েকটি গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সজীব তরফদার ডেমা ইউনিয়নের মৃত সিদ্দিক তরফদারের ছেলে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক বলেন, সজীব তরফদার ডেমা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে সোচ্চার ছিল। ডেমা ইউনিয়নের একজন জনপ্রিয় নেতা ছিল সজীব তরফদার। তার মৃত্যুতে ওই এলাকার মানুষ আহাজারি করছে। সে ছিল আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। হয়তো তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তিনি বলেন আমার ধারণা এই খুনের নেপথ্যে অনেক লোক রয়েছে। তাদের খুঁজে বের করলে প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনা স্থলের আশেপাশে লোকজনদের সাথে হত্যাকান্ড সম্বন্ধে কথা হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
Please follow and like us: