বাগেরহাট জেলা সদরের ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের সদুল্লাপুর এলাকার মৃত নসর উদ্দিন মলংগীর ছেলে হতদরিদ্র এরাদুল মলংগীর বসতঘর টি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে কিন্তু ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ঘরের মধ্যে থাকা আসবাবপত্র, নগদ টাকা, জাল সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ও দলিল দস্তাবেজ। ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারটি পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। প্রশাসন ও নেতৃবৃন্দের কাছ থেকে সাহায্যের প্রত্যাশা করেছেন ভুক্তভোগী ও তাদের প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় বৈদ্যুতিক মিটারে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে এসে পানি ও বালি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিন্তু ততক্ষণে ঘরের মধ্যে থাকা সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দরিদ্র এ পরিবারের স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের বইপত্র পুড়ে গেছে। অন্যের কাছ থেকে আনা মাছ ধরার জাল পুড়ে গেছে। তাছাড়া তাদের দলিল, জন্ম নিবন্ধন, এনআইডি কার্ড, স্কুল সার্টিফিকেট সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পড়ে ছাই হয়ে গেছে। সকলের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো।
প্রতিবেশী কামরুল ইসলাম বলেন, আগুন লেগেছে খবর শুনেই দৌড়ে এসে দেখি দাউদাউ করে জ্বলছে। কাঠের ঘর হওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মালিক এরাদুল মলংগী খুবই গরীব ও অসহায়। তার তার ছেলেমেয়েদের কাপড় চোপড়, কাগজ এবং বই পত্র পুড়ে গেছে। বিকল্প থাকার জায়গা না থাকায় তারা নানা বাড়িতে থাকছে। অসহায় এই পরিবারের পাশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের এগিয়ে আসা উচিত।
অপর প্রতিবেশী শাহানারা বেগম বলেন, এরাদুল মলংগীর রবিউল ইসলাম (১৬), মুন্নি খাতুন (১৪) এবং লামিয়া খাতুন (৬) নামীয় তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের বই খাতা, জামা কাপড় সহ সার্টিফিকেট গুলো পুড়ে গেছে। দিনে আনে দিনে খায় এই পরিবারটির বসত ঘরটি খুব জরুরী। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত দ্রুত সহায়তা প্রদান করা। সেই সাথে নেতৃবৃন্দেরও এগিয়ে আসা উচিত।
Please follow and like us: